চট্টগ্রাম: নগরের আকবরশাহ এলাকার কালির ছড়া খাল উদ্ধারে অভিযান করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। অভিযানে ছোট বড় প্রায় ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী লিংক রোডের সুপারি বাগান ও লেক সিটি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের কাট্টলী ভূমি সার্কেলের সহকারী কমিশনার আরাফাত সিদ্দিকী।
গত ১৭ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯তম সভায় লেক সিটি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
আরাফাত সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, কালিছড়া খালটি সীতাকুণ্ড পাহাড় থেকে এসে সরাসরি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলেছে। সময়ে বিবর্তনে এ খাল নাব্যতা হ্রাস, অবৈধ দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে এখন এর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। কিছু কিছু জায়গায় সরু নালায় পরিণত হয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা আছে পরিবেশের আর কোনো ক্ষতি করা যাবে না। যতটুকু ক্ষতি হয়েছে আমরা সেগুলোকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, এ খালের পাশে ঘর-বাড়ি, ডেইরি ফার্ম, রাস্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা, ধর্মীয় স্থাপনাসহ নানাকিছু নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষ যে এসব জেনে-বুঝে করেছে এমনও না। অভিযানে ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ডেইরি ফার্ম, গুদামঘর, আবাসিক প্লটের সীমানা দেয়াল, দোকানসহ বিভিন্ন ধরণের পাকা স্থাপনা।
পাহাড়ে অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি যারা নিয়েছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। পাহাড়ে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি না নিয়ে যারা বসবাস করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।
বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযানে সমন্বয় করেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী। এছাড়া অভিযানের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাদিউর রহিম জাদিদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি