চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা বিভাজনের রাজনীতি করতে চেয়েছিল। বিভাজনের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না।
শনিবার (২৬ অক্টোর) বিকেলে নগরের লালদিঘী ময়দানে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিলেন জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ও মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। এমনকি তিনি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন তার নিজের দল আওয়ামী লীগের ওপর। তার ধারণা ছিল ১৯৭৫ সালে তার বাবাকে হত্যা করেছিল এ দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগ। এ জন্য গত ৫০ বছর ধরে শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতিই করেছেন। শেখ হাসিনার রাজনীতির মূলনীতি ছিল দুইটি, একটি প্রতিশোধের ও অন্যটি বিভাজনের রাজনীতি। অর্থ পাচার করে দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। অন্তঃসারশূন্য করে একটি পরনির্ভরশীল দেশ ও জাতিতে পরিণত করে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি।
তিনি বলেন, শুধু জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারের অধিক মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনদের কাছে মরদেহের কোনো হদিস নেই। এভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বেঈমানী করে দেশ ছেড়েছে।
সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, যারা বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছেন, যাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এখনই পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে সেই ফ্যাসিবাদকে আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের ওপর পরিচালিত গণহত্যায় এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। ২০১৪ গণহত্যা এবং ২০২১ সালের মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ের হতে হবে। সে মামলায় বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা আলী উসমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দীন, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী ও মাওলানা আবু সাঈদ নোমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৪
এমআই/টিসি