ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশনের’ বিকল্প নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশনের’ বিকল্প নেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: দেশের উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা কমিশনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন প্রক্রিয়া সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন।

 

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ছয়দিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্ট ইউনিভার্সিটির যৌথভাবে সমন্বিত সিলেবাস কারিক্যুলাম প্রণয়ন, ইন্টার্নশীপ ও প্রবলেম বেইজড লার্নিং বিষয়ে ছয়দিনের কর্মশালার আয়োজন করে।


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হতে চাইলে উচ্চশিক্ষায় আরো বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষা ও গবেষণায় বরাদ্দ অপ্রতুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানসম্মত গবেষণাই জাতিকে অগ্রগতির পথ দেখাবে। শিক্ষা ও উন্নয়ন একটি আরেকটির পরিপূরক। তাই উন্নয়ন চাইলে আগে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকার টাফ্ট ইউনিভার্সিটি মধ্যকার যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে আরো একধাপ এগিয়ে নেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও জ্ঞান বিনিময়ের ফলে উভয়ে উপকৃত হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ছয়দিনব্যাপী কর্মশালার সুপারিশ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. আহসানুল হক।

রোগ-জীবাণু ছড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে প্রফেসর নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এখানে প্রাণী ও মানুষ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে বসবাস করে। ফলে কোন উদ্ভূত রোগ-জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ঝুঁকি থেকে উভয়কে রক্ষার কর্মসূচী নিয়ে ওয়ান হেল্থ বাংলাদেশ কনসেপ্ট কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন সম্ভব হলে প্রাণির দেহ হতে রোগ-জীবাণু মানবদেহে ছড়ানোর ঝুঁকি বহুলাংশে কমবে।  

প্রফেসর ড. শওকত আনোয়ার তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস কারিক্যুলাম এমনভাবে প্রণয়ন করা দরকার যাতে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে গ্র্যাজুয়েটরা সমস্যা মোকাবেলা করতে পারেন। এজন্য আমরা প্রবলেম বেইজড লার্নিং (পিবিএল) পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিতে দিচ্ছি।

উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও বিশ্বখাদ্য সংস্থা (এফএও) এর ওয়ান হেলথ কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্ট ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শওকত আনোয়ার ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ছয়দিনব্যাপী কর্মশালায় যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্ট ইউনিভার্সিটি এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন কোর্সের সিলেবাস কারিক্যুলাম উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, প্রবলেম বেইজড লানিং (পিবিএল) এবং ইন্টার্নশীপ কর্মসূচী প্রণয়ন ও উন্নয়নের কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়।

তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্ট ইউনিভার্সিটিতে ইন্টার্নশীপ করতে যাবে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্ট ইউনিভর্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্ন করতে আসবে। এ বিষয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়:১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad