ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাতকানিয়া থেকে রমেন দাশগুপ্ত

‘অল্প সময়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি’

রমেন দাশগুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
‘অল্প সময়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতকানিয়া থেকে: দুই পৌরসভায় বিএনপির মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী প্রতিপক্ষের কাছ থেকে হুমকিধমকি পাওয়ার এবং কেন্দ্র দখলের আশংকা করলেও পুলিশ এর কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে।  

পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে হুমকি পাবার বিষয়ে বাঁশখালী ও সাতকানিয়ার বিএনপি দলীয় দুই মেয়র প্রার্থী লিখিত কোন অভিযোগ করেননি।

  আর কেন্দ্র দখলের ক্ষেত্রে পুলিশ বলছে, অল্প সময়ের মধ্যে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত আছে।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার একেএম এমরান ভূঁইয়া পৌর নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন।
 

এমরান বলেন, ‘যে কোন ধরনের পরিস্থিতি সেটা যেমনই হোক না কেন, অল্প সময়ের মধ্যে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।   অবশ্যই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। ’

এর আগে সকালে বাঁশখালীতে বিএনপি দলীয় পৌর মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনী বাংলানিউজকে বলেন, আমার আশংকা ভোটের দিন তারা (আওয়ামী লীগ) সব কেন্দ্র দখল করে নেবে।   এখন যে পরিস্থিতি আছে এই পরিস্থিতিতে যদি নির্বাচন হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই।   কিন্তু কেন্দ্র দখল হলে তো সব শেষ।   এটা শুধু আমার আশংকা নয়।   এটা পৌরসভাবাসীরও আশংকা।

বিকেলে সাতকানিয়ায় বিএনপি দলীয় পৌর মেয়র প্রার্থী হাজী রফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিপক্ষের কর্মীবাহিনী মাঠ পর্যায়ে আমাকে এবং আমার কর্মীদের হুমকিধমকি দিচ্ছে।   মামলা দেবে বলে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে।   সকাল ১০টার মধ্যে সব কেন্দ্র দখল করে ভোট নেবে বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।   এ অবস্থায় আমাদের সবার আশংকা আদৌ ভোট সুষ্ঠু হবে তো ?

দুই মেয়র প্রার্থীর এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি এমরান বলেন, প্রার্থী যে দলেরই হোক না কেন তারা যাতে নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।   এখন পর্যন্ত বাঁশখালী এবং সাতকানিয়ায় একটাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি।  

‘কোন প্রার্থী আজ পর্যন্ত লিখিতভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি যে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।   অথবা কেন্দ্রে কোন ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকতে পারে এমন কোন তথ্যও কোন প্রার্থী আমাদের দেয়নি।   তবে অলরেডি আমাদের বেশকিছু মোবাইল টিম বিভিন্ন কেন্দ্রের আশেপাশে অবস্থান করছে। ’ বলেন এমরান।

‘সাতকানিয়ায় এবং বাঁশখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ যে কেন্দ্রগুলো আছে যেখানে প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে পারে কিংবা নাশকতামূলক কার্যক্রম হতে পারে সেই কেন্দ্রগুলো আমরা অলরেডি তালিকাভুক্ত করেছি। সেসব কেন্দ্রে আমাদের নিয়মিত ফোর্সের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং টিম থাকবে, মোবাইল টিম থাকবে এবং গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।   আমরা যে কোন ধরনের আগাম তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তী ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। ’ বলেন এমরান।

এএসপি জানান, সাতকানিয়ায় ১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চার থেকে পাঁচটি অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।   বাঁশখালীতে ছয়টি কেন্দ্র আছে যেগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।   বাঁশখালীতে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ কোন কেন্দ্র নেই।  

‘যেসব কেন্দ্রে প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে পারে অথবা যেগুলো জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা সেগুলোকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এসব কেন্দ্রে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি অল্প সময়ে মোকাবেলার জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে। ’ বলেন এএসপি এমরান।  

বাঁশখালী পৌরসভায় মেয়র পদে দুইজন, ৪০জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।   ২৩ হাজার ৭৯২জন ভোটার ১১টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন।

সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ৩ জন মেয়র পদে, ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৫ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। ৩২ হাজার ৯৭০ জন ভোটার ১২টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
আরডিজি/টিসি

** বিএনপির রফিকুলের পাশে নেই জামায়াত
** ‘সর্বজনীন’ হতে চান জোবায়ের
** ‘জোবায়ের ভালা পোয়া, রফিকুরে ন’চিনি’
** ‘এক খিলি ফানও কেওর তুন ন’হাইর’
** ভোটের আগেই ‘মেয়র সাব’ সেলিমুল!
** কৌশলী প্রচারণায় ‘কমরু’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।