চট্টগ্রাম: ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কফিল উদ্দিন ছিলেন অনড়, আপোষহীন। একজন নির্লোভ, নিরহংকারী, সদালাপী মানুষ হিসেবে কফিল উদ্দিন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন।
সোমবার সাবেক সাংসদ কফিল উদ্দিনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত স্মরণসভায় এভাবেই তাকে স্মরণ করেন বক্তারা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর শাখার কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক দেব প্রসাদ দাশ, মুক্তিযোদ্ধা ইয়ার মোহাম্মদ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নেতা সাজিদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সন্তান কমান্ড সদস্য সচিব, নগর যুবলীগ সদস্য হোসেন সরওয়ার্দীর পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ।
সভায় বক্তারা বলেন, ৭১’র পরাজিত শক্তি পাকিস্তানি ভাবধারায় যে রাজনৈতিক চর্চা শুরু করেছিল, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার যে চেষ্টা করেছিল তার বিরুদ্ধে কফিল উদ্দিন ছিলেন বলিষ্ট প্রতিবাদ। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির গড়ে ওঠা বলয় ভাঙ্গার ক্ষেত্রে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেত্রী শহীদ জননী জাহানারা ইমাম যে ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন কফিল উদ্দিন ছিলেন তার সহযোগী। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামের প্রেরণা।
আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা আশরাফুল গণি চৌধুরী, মহানগর যুবলীগ সদস্য শেখ নাছির আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন দেলু, কাজী রাজিস ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর কেন্দ্রিয় সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, যুগ্ম আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক দিদার আশরাফি, যুবলীগ নেতা এস এম নাছির উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন সুমন, এস এম আব্বাস উদ্দিন, সৈয়দ আবদুর রহমান শাহজাদা, গাজী মনির হোসেন দুলাল, রেজাউল করিম রাজু, কামরুল ইসলাম, সন্তান কমান্ড নেতা আবু সালেহ, রাজু আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, আরমান হোসেন, সামাদ মোরশেদ রকি, ছাত্র নেতা ইয়াসিন ভূইঁয়া, আশরাফুল আলম ছিদ্দিকী প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
আইএসএ/টিসি