ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প রিং রোড’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
‘চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প রিং রোড’ ছবি: সোহেল সরওয়ার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পকে চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বলে মন্তব্য করেছেন  চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর হালিশহর এলাকায় তিনি রিং রোড প্রকল্পের মাটি কাটার কাজ পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

এ সময় হালিশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, রাজনীতিক, প্রকল্প পরিচালক কাজী হাসান বিন শামস, সিডিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ফৌজদারহাট পর্যন্ত ২০-২১ কিলোমিটার দীর্ঘ রিং রোডটি হবে ৩০ ফুট উঁচু।
এ সড়কের নিচের দিকে (গোড়া) প্রশস্ততা হবে ৩০০ ফুট এবং উপরে থাকবে ৮৪ ফুট। চার লেনের এ রোডে থাকবে ১১টি স্লুইসগেট। ‍বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের জন্য এপাড়ের অ্যাপ্রোচ রোড।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি শুধু নগরীর ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮-২০ লাখ মানুষকে জলোচ্ছ্বাস থেকেই রক্ষা করবে না একই সঙ্গে এলাকার চেহারা পাল্টে দেবে। রিং রোডকে সিইপিজেডের সঙ্গে সংযোগ করে দিচ্ছি। তাই ইপিজেড ও বন্দরের গাড়ি এ রোড দিয়ে চলাচল করতে পারবে। এতে নগরীতে যানজট যেমন হবে না তেমনি পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটানোও এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ৫ হাজার একর জায়গা আছে যেখানে পরিকল্পিত উপশহর হবে।

বাঁধের খুব কাছ থেকেই মাটি কাটা হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে আমরা দৃষ্টি রেখেছি। মাটি ও বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে দিতে বলেছি। যতটা সম্ভব দূর থেকে মাটি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। কনসালটেন্টের পরামর্শের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে এ কাজের অর্থ কী?

প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় ২ হাজারের বেশি জেলে পরিবারকে ১ কাঠা করে জমি দেওয়া এবং পতেঙ্গা সৈকতের ভাসমান দোকানগুলোকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি আগামী তিন বছরে শেষ করার লক্ষ্যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।