ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুরাদপুর ফ্লাইওভারের ১৮টি গার্ডার রেডি, লাগবে ৭৪৪টি

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
মুরাদপুর ফ্লাইওভারের ১৮টি গার্ডার রেডি, লাগবে ৭৪৪টি ছবি: সোহেল সরওয়ার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারে ইংরেজি ‘ওয়াই’ আকারের দৈত্যাকার পায়ার (স্তম্ভ) থাকছে ৯২টি। চার লেনে গাড়ি চলাচলের জন্য একটি পায়ারের সঙ্গে আরেকটি পায়ারের সংযোগ রক্ষা করবে আটটি করে গার্ডার।

এ হিসাবে মোট ৭৪৪টি গার্ডার সিমেন্ট, পাথর ও লোহা দিয়ে জমাতে হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত গার্ডার তৈরি হয়েছে ১৮টি।
একটি গার্ডার জমাতে সময় লাগে প্রায় ১০ দিন।

তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম মঙ্গলবার সাইট পরিদর্শনে এসে বাংলানিউজকে বলেন, আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ এত দ্রুত হচ্ছে এটি একটি রেকর্ড। এক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর পরই এটি স্থান পাবে। নির্ধারিত মেয়াদের আগেই এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা বিরামহীন কাজ চলছে। বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা ফ্লাইওভারের মাটির নিচের কাজ শেষ করেছি। ১০ জন চীনা ইঞ্জিনিয়ার সার্বক্ষণিক কাজ তদারকি করছেন। একসময় মনে করা হতো যেহেতু সিডিএ অ্যাভিনিউ চট্টগ্রাম শহরের প্রধান সড়ক তাই ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হলে চট্টগ্রাম শহর স্থবির হয়ে পড়বে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারদের সুন্দর পরিকল্পনায় রাস্তার দুপাশ দিয়ে যান চলাচলসহ সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তারপরও নগরবাসীর একটু কষ্ট তো হবেই।

এক প্রশ্নের উত্তরে আবদুচ ছালাম বলেন, এখন ওয়াসার মোড় পর্যন্ত ৫৫০ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। পরে যখন বিমানবন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে তখন আরও ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। নগরবাসীর স্বার্থে দুই নম্বর গেট, জিইসি-ওয়াসা, আগ্রাবাদ, বারিকবিল্ডিং, কাস্টমস মোড়, সিইপিজেড, কাঠগড় ইত্যাদি জংশনে লুপ বা র‌্যাম্প থাকবে গাড়ি ওঠানামার জন্য।

ফ্লাইওভার নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের ইঞ্জিনিয়ার মুনির হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার অংশের ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। নির্মাণকাজে উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে গুণগতমান নিয়ে কোনো সংশয় না থাকে। সবচেয়ে বড় কথা চার লেনের একটি ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ চলাকালীন দুপাশে গাড়ি চলাচল ব্যবস্থা আমরা স্বাভাবিক রাখতে পেরেছি।

তিনি বলেন, দুই নম্বর গেট ও জিইসি জংশনে ফ্লাইওভারে গাড়ি ওঠানামার জন্য চারটি করে আটটি র‌্যাম্প (রাস্তা) থাকবে। এগুলো ২৫০ মিটার থেকে ২৮০ মিটার দীর্ঘ হবে। ফ্লাইওভারের উচ্চতা সব জায়গায় সমান হলেও র‌্যাম্পের ঢালুতে পার্থক্য থাকবে অবস্থানগত ও নকশার কারণে।     

গার্ডার সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফ্লাইওভারের প্রধান যে কাজ পায়ার (স্তম্ভ) সেটি প্রায় হয়ে গেছে। এখন ওপরের অংশের কাজটুকু অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক গার্ডার রেডি করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।