চট্টগ্রাম: নগরীর বাকলিয়া থানার কেবি আমান আলী সড়কের মেসার্স উদয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসকের মালিক আবদুল ওহাবকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ, মানহীন ওষুধ জব্দ এবং প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন অভিযানে নেতৃত্বে দেন। ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক কেএম মুহসিনীন মাহাবুব ও নগর পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, অভিযানকালে অনেক অনিয়ম পাওয়া গেছে কারখানাটিতে। প্রতিষ্ঠানটির ওষুধ উৎপাদনের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। ওই বছর শেষ হয়েছিল ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ। প্রতিষ্ঠানটি রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ওষুধ যেমন তৈরি করছিল তেমনি একটা ওষুধের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে একাধিক ওষুধও তৈরি করছিল।
তিনি জানান, উদয়নের কারখানায় কিছু ওষুধ পাওয়া গেছে কৌটায় মেয়াদ ছাপানো আছে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, কিন্তু ভেতরে খুলে দেখা গেছে ছত্রাক পড়ে গেছে। ইউনানি ওষুধের এ কারখানায় কোনো কেমিস্ট বা হেকিমকে পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরাই ইচ্ছেমতো ওষুধ তৈরি করছেন। প্রতিষ্ঠানটির কোনো সাইনবোর্ডও টাঙানো ছিল না বাইরে। অনেকটা গোপনে এসব ওষুধ তৈরি করে সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করছিল তারা।
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ এক পিক-আপ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কারখানাটির লাইসেন্স বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পর্যবেক্ষণ (সুপারিশ) দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্স নবায়নের আগপর্যন্ত অবৈধ কারখানাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
টিএইচ/আইএসএ/টিসি