ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাতকানিয়া থেকে রমেন দাশগুপ্ত

‘জোবায়ের ভালা পোয়া, রফিকুরে ন’চিনি’

রমেন দাশগুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
‘জোবায়ের ভালা পোয়া, রফিকুরে ন’চিনি’

সাতকানিয়া থেকে: ‘জোবায়ের ভালা পোয়া, রফিকুরে ন’চিনি’- সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের ও ধানের শীষের প্রার্থী হাজী রফিকুল আলমকে নিয়ে এভাবেই নিজের মতামত তুলে ধরেন এক ভোটার।

কাজী জাহাঙ্গীর আলম নামের এ ভোটার বাংলানিউজকে বলেন, ‘জোবায়েরকে আমরা আগে থেকেই চিনি।

ছাত্র রাজনীতি করতো। তখন থেকে চিনি।
  গতবার মেয়র প্রার্থী ছিল। তার মধ্যে কখনো অস্ত্রের রাজনীতি দেখিনি। তবে তার সঙ্গে এখন যারা হাঁটছে তারা ভাল লোক না। ’

সোমবার দুপুরে সাতকানিয়া পৌরসভার আনু ফকিরের দোকানে চলছিল জম্পেশ ভোট আড্ডা।   আড্ডায় ছিলেন ফরিদুল আলম, মো. শাহ আলম, কাজী জাহাঙ্গীর আলম, শামসু মিয়ারা। কথা হচ্ছিল নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন তিন মেয়র প্রার্থী- আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজী রফিকুল আলম ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী মো. ইউসুফ।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজী রফিকুল আলম সর্ম্পকে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রফিককে আগে দেখিনি। তাকে আমরা চিনি না। শুনেছি সে শহরে ব্যবসা করে। এবার এসে বলছে সে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে।

এ কথায় সুর মিলিয়ে শামসু মিয়া বলেন, বর্তমান মেয়র হাজী মোহাম্মাদুর রহমান বিএনপি থেকে গতবার মেয়র হয়েছিলেন। কিন্তু এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। যত জনই আসুক তার মতো ভাল আর কেউ হবে না। তিনি গরিব দরদী। তাকে প্রার্থী করলে আমাদের জন্য ভাল হতো।


এসময় একগাল হেসে শাহ আলম বলেন, এবার মানুষের মধ্যে নির্বাচনের আমেজ নেই। মানুষ মনমরা হয়ে আছে।   মানুষ যাকে (মোহাম্মাদুর রহমান) ভালবাসে তাকে নমিনেশন দেয়া হয়নি। তাই নির্বাচনের প্রতি মানুষের আগ্রহ নাই।

ভোটাররা জানান, গত দুইবার বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন হাজী মোহাম্মাদুর রহমান।   দুইবারই তিনি জয়লাভ করেছেন।   গত জুলাইয়ে তিনি দলবদল করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।   নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন না দিয়ে জোবায়েরকে মনোনয়ন দেয়।

মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে ফরিদুল আলম বলেন, তিনজনই প্রচারণায় সমান।   তিনজনই মানুষের কাছে যাচ্ছেন, লিফলেট বিলি করছেন, পোস্টার লাগাচ্ছেন। তিনজনই সমানতালে গণসংযোগ করছেন।   তবে জামায়াতের ভোট এবার ভাগ হবে।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাংসদ ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীকে জামায়াতের একটি অংশ সাপোর্ট করে।   কিন্তু নদভী জোবায়েরকে সমর্থন করেন কিনা তা আমরা জানিনা।   কেননা নদভীর সমর্থিত প্রার্থী ছিল মোহাম্মাদুর রহমান, যাকে দল সমর্থন দেয়নি।   দল সমর্থন দিয়েছে জোবায়েরকে।   তাই নদভী যদি সমর্থন দেয় তাহলে জামায়াতের কিছু ভোট জোবায়ের পাবে। জামায়াতের ভোট এবার বিএনপি-আওয়ামী লীগে ভাগ হবে।

সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ৩জন মেয়র পদে, ৩৩জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৫ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। ৩২ হাজার ৯৭০জন ভোটার ১২টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
আরডিজি/আইএসএ/টিসি

** ‘এক খিলি ফানও কেওর তুন ন’হাইর’
** ভোটের আগেই ‘মেয়র সাব’ সেলিমুল!
** কৌশলী প্রচারণায় ‘কমরু’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।