ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘চট্টগ্রামবাসীর কাছে থাকতে মন্ত্রীত্ব নেননি মহিউদ্দিন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৮
‘চট্টগ্রামবাসীর কাছে থাকতে মন্ত্রীত্ব নেননি মহিউদ্দিন’ বক্তব্য রাখছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী

চট্টগ্রাম: যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের মানুষের কাছে থাকতে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম পদ নেননি। সরকারের মন্ত্রীত্ব নেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।  তিনি ভাবতেন প্রেসিডিয়ামে গেলে, মন্ত্রী হলে তিনি চট্টগ্রামবাসীর কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন। এতে প্রমাণ হয় মন্ত্রীত্বের সোনার হরিণের চেয়ে চট্টগ্রামের মানুষই তাঁর কাছে মূল্যবান ছিল।  গণমানুষের এমন নেতা এখন রাজনীতিতে বিরল। 

শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) নগরীর লালদিঘী ময়দানে নগর যুবলীগ আয়োজিত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রামকে ভালোবাসতেন বলেই এই শহর তাঁর আমলে পরিচ্ছন্ন নগরীর খ্যাতি পেয়েছিল।

 চট্টগ্রামকে ভালোবাসতেন বলেই কোন ট্যাক্স না বাড়িয়েও যে করপোরেশন চালানো যায়, এটা একটা দৃষ্টান্ত।  চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে তিনি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন।
এজন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দেশের সম্পদ বলেছেন।  মহিউদ্দিন ভাইয়ের পরিবারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের করে নিয়েছেন।

একই স্মরণসভায় মহিউদ্দিনের সন্তান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যই ছিল আমার বাবার রাজনীতির প্রথম শর্ত।   মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর আদর্শে অবিচল থাকার কারণেই তিনি নেতৃত্বে উঠে আসতে পেরেছিলেন।   আমাদের সকলকে দল এবং নেত্রীর প্রতি অনুগত থাকতে হবে।

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মহিউদ্দিন ভাইয়ের নেতৃত্ব ছিল আপোষহীন।   উনি যে দাবি নিয়ে সোচ্চার হতেন, তা আদায় করে ছাড়তেন। এজন্য চট্টগ্রামের রাজনীতির ইতিহাসে মহিউদ্দিন ভাইয়ের মতো এতো জনপ্রিয়তা আর কেউ অর্জন করতে পারবে কি না এটা নিয়ে সন্দেহ আছে।

স্মরণসভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের প্রশ্নে মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন আপোষহীন।   এর প্রতিদানও চট্টগ্রামবাসী তাঁকে দিয়েছেন।  অসুস্থতার পর মানুষ কান্না করেছেন।  মৃত্যুর পর এত বড় জানাজা স্মরণকালে বাংলাদেশে আর হয়নি।  মহিউদ্দিন ভাইয়ের ইমেজ আগামী নির্বাচনে কাজে লাগাতে হবে।

নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ ও মাহবুবুল হক সুমনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও শফিক আদনান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।