ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জবুথবু চট্টগ্রাম, রোগে কাবু হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
জবুথবু চট্টগ্রাম, রোগে কাবু হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা। ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: সকাল নয়টায়ও কুয়াশার চাদরে মোড়া চট্টগ্রাম। হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু স্কুলগামী সোনামণিরা। অফিসগামী মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর সবারই কাহিল অবস্থা।

ভারী জ্যাকেট, সোয়েটার, মোটা চাদর, শাল, মাফলার, কানটুপি, গলাবন্ধনী, হাত মোজা, পায়ের মোজা পরে শীত মোকাবেলায় জরুরি প্রয়োজনে পথে নামছে মানুষ। গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ কর্মজীবী মানুষ ফুটপাতের ছোট ছোট টং দোকানে ভিড় করছেন গরম চায়ে চুমুক দিতে।

নিম্নআয়ের লোকজন রাস্তার পাশে খড়খুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। কর্ণফুলীর মাঝিমাল্লারা কাবু হচ্ছেন শীতে, কাঁপছেন ঠাণ্ডার কামড়ে।
 

জরুরি প্রয়োজনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছেন নারীরা।  ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ সকাল সাতটায় জামালখানের একটি স্কুলের পোশাক পরিয়ে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন গৃহিণী রওশন আকতার। তিনি বলেন, পৌষ মাসে এত শীত আগে কখনো অনুভব করিনি। বাচ্চা তো সর্দি-কাশিতে ভুগছে। স্কুলে কড়াকড়ি থাকায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিয়ে যেতে হচ্ছে।  

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীতে তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সীতাকুণ্ডে ছিল ৬ দশমিক ৮, সন্দ্বীপে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আশা করা হচ্ছে ক্রমে তাপমাত্রা বাড়বে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন রোগে বাচ্চারা নিউমোনিয়া, রক্তের সংক্রমণ, অ্যালার্জি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আমাদের নবজাতক ওয়ার্ডসহ মোট শয্যা আছে ১০৪টি। কিন্তু রোগী ভর্তি আছেন তিন শতাধিক। কোনো কোনো শয্যায় একাধিক নবজাতকও রাখতে হচ্ছে।

কর্ণফুলী নদীতে শীতে জবুথবু মাঝিমাল্লারা।  ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ

শিশুদের অসুখ-বিসুখ নিয়ে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রথমত শীতকালে শিশুদের স্পেশাল কেয়ার নিতে হবে। দ্বিতীয়ত অসুখ-বিসুখের শুরুতে যদি শিশুকে চিকিৎসককে দেখানো হয় তবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। রেফার হাসপাতাল হিসেবে আমরা দেখি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে শিশুদের আনা হয় যখন রোগ জটিল আকার ধারণ করে। এক্ষেত্রে মা-বাবাদের সচেতন হতে হবে।   

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।