বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাউজানবাসী'র ব্যানারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম এদেশের সব নাগরিকের জন্য এ নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমার নানার বাড়ি রাউজান। গত ১০ বছরে রাউজানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল যে রাউজান সেটি এখন শান্তির দ্বীপে পরিণত হয়েছে। তাই রাউজানবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে জয়ী করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন, স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, কবি কামরুল হাসান বাদল, মো. ফরিদ, সমাজসেবক মুসলেহ উদ্দিন বদরুল, মো. শাহজাহান, অধ্যাপক কাজী শামসুল আলম, লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস, বেক্সিমকোর কর্মকর্তা মো. মহসিন চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক খোরশেদুল আলম শামীম, আলমগীর সবুজ, সাইদুল ইসলাম, বিমা কর্মকর্তা এসএম ইউসুফ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জাহেদুর রহমান সোহেল, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সারজু মো. নাছের, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কামরুল হুদা পাভেল, নিউজ'র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হায়দার, অ্যাডভোকেট এসআর সিদ্দিকী, তরুণ ভোটার এসএম মুজিব প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক শওকত বাঙালি। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠক মঈনুদ্দিন কাদের লাভলু।
বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসের কারণে একসময় রাউজানের পরিচয় দিতে লজ্জা হতো, এখন গর্ব হয়। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উন্নয়ন ও নেতৃত্ব দিয়ে রাউজানকে বদলে দিয়েছেন। শান্তি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য নৌকায় ভোট দিতে হবে। এ লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে রাউজানবাসী ঐক্যবদ্ধ। নৌকা জিতলে মাস্টারদা সূর্য সেন, মহাকবি নবীন সেন রাউজান হবে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ তীর্থভূমি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
এআর/টিসি