চট্টগ্রাম: ২০০৯-২০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ব্যবহার অযোগ্য, পচা, গলা, মেয়াদোত্তীর্ণ ২৯৮ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৯ মার্চ) বিভিন্ন ডিপো থেকে তালিকাভুক্ত ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ২৭টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।
নগরের উত্তর হালিশহরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন রোডের চৌধুরী পাড়ার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এসব কনটেইনারের পণ্য ক্রেনের সাহায্যে বের করা হয়। এরপর খালি কনটেইনারগুলো সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টের প্রতিনিধিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাস্টমসের নিলামকারী প্রতিষ্ঠান কেএম করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ধ্বংস কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রথম দিন ১০-১২টি ক্রেন, স্কেভেটার, ট্রেইলার, ট্রাকসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক কাজে লাগানো হয়েছে।
শিপিং এজেন্টের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বিদেশ থেকে কনটেইনারে পণ্য আমদানির পর দেশের বাজারে দাম কমে গেলে কিংবা মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে অনেক সময় আমদানিকারক বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নেন না। এক্ষেত্রে বছরের পর বছর শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকে থাকে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের লোকসান হয়ে যায় কনটেইনারগুলোর পেছনে। এ ছাড়া বন্দর বা অফডকের জায়গা খালি হওয়ায় তা কনটেইনার জট সামাল দিতে ভূমিকা রাখবে। বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল হবে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, এবারের ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গত ২১ মার্চ কাস্টম হাউসে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়। এরপর ২৫ মার্চ ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি থেকে জেলা প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, সিএমপি, পরিবেশ অধিদফতর, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেওয়া হয়। ১০ দিনে এবারের ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্নের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
এআর/টিসি