ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের সমস্যা নিরসনে মতবিনিময়

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের সমস্যা নিরসনে মতবিনিময় ...

চট্টগ্রাম: ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সমস্যা নিরসনে চট্টগ্রামের শতাধিক ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।  

সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নগরের জেএম সেন হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।

স্বাগত বক্তব্য দেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী।  

স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ, নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নটু কুমার ঘোষ, দক্ষিণ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দেব, গোলপাহাড় মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাইকেল দে, ঢাকা রমনা কালী মন্দিরের উপদেষ্টা মিলন শর্মা, হিন্দু ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাসচিব নারায়ণ কৃষ্ণ গুপ্ত, দক্ষিণ জেলা জন্মাষ্টমী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল ঘোষ বাবুল, কৈবল্যধাম ট্রাস্টের ট্রাস্টি মনিলাল দাশ, শংকর মঠ মিশনের সাধারণ সম্পাদক কেশব কুমার চৌধুরী, দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহরলাল চক্রবর্তী, চট্টেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত বিজয় চক্রবর্তী, বিশ্ব সনাতন ঐক্যের সমন্বয়ক সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, সন্তোষী মায়ের মন্দিরের বেণু ব্রহ্মচারী, হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক সুমন পাল, জাগো হিন্দু পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি রুবেল কান্তি দে, সনাতন সংগঠনের অশোক চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিনিধি প্রিয়ব্রত বিশ্বাস, অখণ্ড মণ্ডলীর সহ-সভাপতি মনতোষ মজুমদার, নন্দনকানন রাধা গৌবিন্দ মন্দিরের সভাপতি পণ্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী, তুলসীধামের প্রতিনিধি মধুসূদন দাশ, সুমন চৌধুরী, মোহরা ইসকন মন্দিরের সভাপতি সর্বমঙ্গল গৌর হরি দাস প্রমুখ।

সভায় শতাধিক ধর্মীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ইসকন মন্দিরে হামলা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। প্রবর্তক সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সনাতনীদের কল্যাণে। আর ইসকন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরও সনাতনীদের কল্যাণে কাজ করছে। ফলে প্রবর্তক সংঘ ও ইসকনের মধ্যে কোনো বিরোধ হতে পারে না। যারা প্রবর্তক সংঘ ও ইসকনের মধ্যে বিরোধ তৈরি করছে তারা সনাতনীদের শত্রু এবং হিন্দু স্বার্থবিরোধী। সনাতনীরা সবসময় শান্তিপ্রিয়।  

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই সংগঠনকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের দাবি তুলেন বক্তারা। ইসকন প্রবর্তক সংঘের এলাকায় মন্দির তৈরির যথাযথ অনুমতি আছে ইসকনের কাছে। তারা আন্তর্জাতিক মানের যে মন্দির করেছে তা সব সনাতনীদের জন্য গৌরবের।  
তাই ইসকনকে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে আরও সম্পৃক্ত করতে ইসকনের চাহিদা অনুযায়ী জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রবর্তক সংঘের প্রতি আহ্বান জানান ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।  

এ ছাড়া ইসকন প্রবর্তক মন্দিরে ও সাধুদের ওপর আক্রমণকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং সাধুসন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয় সভায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।