ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চারটিতেই সীমাবদ্ধ ‘ওয়াটার এটিএম বুথ’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
চারটিতেই সীমাবদ্ধ ‘ওয়াটার এটিএম বুথ’  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গরীবদের মাঝে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছিল চট্টগ্রাম ওয়াসা। নগরজুড়ে বসানোর কথা ছিল একশটি সুপেয় পানির ওয়াটার বুথ।

কিন্তু গত এক বছরে চারটি বুথ বসানোর পর প্রকল্পের অগ্রগতি হয়নি।  

এটিএম ওয়াটার বুথে প্রতি লিটার পানি মিলবে মাত্র ৬০ পয়সায়।

এটিএম বুথে কার্ড প্রবেশ করালে পাওয়া যাবে বিশুদ্ধ পানি-এমন তথ্য দিয়েছিলেন ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ১ জানুয়ারি নগরের খুলশী এলাকায় এ ধরনের একটি এটিএম ওয়াটার বুথ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ। ওই সময় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছিলেন, ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের সামনে, আগ্রাবাদ ওয়াসা অফিসের সামনে এবং বহদ্দারহাটে আরও তিনটি ওয়াটার এটিএম বুথ বসানো হবে। এগুলো সঠিকভাবে চালানো গেলে নগরজুড়ে একশটি বুথ বসানো হবে। কিন্তু এরপর গত একবছর পার হয়ে গেলেও আর কোনও বুথ বসাতে পারেনি চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।  

এ ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করে সুপেয় পানির কষ্টে থাকা লোকজন বলছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওয়াসা এ রকম একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়ন না করা দুঃখজনক।  

ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে নগরবাসীকে কম দামে সহজে সুপেয় পানি সরবরাহ করার প্রকল্পটি হাতে নেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। এই প্রকল্পের অধীনে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি এটিএম ওয়াটার বুথ বসানোর কথা ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নে ড্রিংক ওয়েল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় ওয়াসার। পরীক্ষামূলকভাবে নগরের চারটি এলাকায় প্রথমে চারটি এটিএম বুথ বসানো হয়। এরপর আরও ৯৬টি বুথ বসানোর কথা ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের চারটি বুথই চলমান রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটি পরিকল্পনামাফিক হয়নি। ড্রিংক ওয়েল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে প্রথমে যে চারটি বুথ বসানো হয়েছে, সেগুলোর পাইলটিং দেখছি। বিজনেজ মডেল কি হবে, চাহিদা কেমন, কতটুকু পানি বিক্রি হচ্ছে- এ বিষয়গুলো আমরা চারটি বুথের মাধ্যমে দেখতে চাচ্ছি। এগুলো যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়, তাহলে আমরা পুরো শহরে ১০০টি বুথ বসাতে পারবো’।  

তিনি আরও বলেন, ওয়াটার বুথ বসানোর ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ওয়াসা জায়গা, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ করবে। বুথে পানি শোধনাগার যন্ত্র বসানো থেকে শুরু করে অপারেশনাল সব কাজ ড্রিংক ওয়েল নামের ওই প্রতিষ্ঠান করবে।

ড্রিংক ওয়েল চট্টগ্রাম অঞ্চলের ম্যানেজার মো. মনজুরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সুপেয় পানির জন্য খুলশী ১ নম্বর, ফিরোজশাহ কাউন্সিলর অফিসের সামনে, নয়াবাজার ওয়াসা কলোনি ও আগ্রাবাদ ওয়াসা অফিসের সামনে চারটি বুথ রয়েছে। বর্তমানে আমরা আরও দুটি বুথ বসানোর জন্য চেষ্টা করছি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে পঞ্চাশটি বুথের জন্য ওয়াসার সঙ্গে কাজ করছি। যদি ঠিকমতো চলে, তাহলে আমরা কাজ শুরু করে দেবো’।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad