ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফ্রান্সের সহযোগিতা চাইলেন চসিক মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফ্রান্সের সহযোগিতা চাইলেন চসিক মেয়র ...

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মি. জিন মারিন সাসুহ্ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

বুধবার (৩১ মার্চ) সকালে নগরের টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান মেয়র।

মেয়র বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ইউরোপের দেশগুলো আমাদের পাশে ছিল এবং তারা আমাদের সমর্থন ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের চলমান টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রমেও তাদের বহুমাত্রিক সহায়তা আন্তঃদেশীয় বন্ধুত্বের বন্ধন সুদঢ় করেছে।

 

চট্টগ্রামকে ঘিরে অর্থনৈতিক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে। চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর এবং প্রাচ্য-প্রতীচ্য-পাশ্চাত্যের প্রবেশদ্বার। বৃহত্তর চট্টগ্রামে একই সঙ্গে অনেক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। ফলে চট্টগ্রাম বহুমাত্রিক বিদেশি বিনিয়োগের উর্বর ভূমি হিসেবে এখন বিশ্ব সমাদৃত।  

তিনি সিটি করপোরেশেনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফ্রান্সের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ফ্রান্সের মতো দেশের উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া গেলে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তাই এ বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তিনি আহ্বান জানান।  

মেয়র বলেন, দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে আলিয়স ফ্রঁসেস ঢাকা ও চট্টগ্রামে দু’টি কেন্দ্র থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তাতে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। তাই আমাদের দু’দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভাবনা চিন্তার আদান প্রদানে আলিয়স ফ্রঁসেস একটি গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেয়রকে চট্টগ্রাম নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের সম্ভাব্যতার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের সরকার মূল্যায়ন করে। আমরা ইতিমধ্যে ঢাকায় সুপেয় পানি সরবরাহে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যে সফলতা পেতে যাচ্ছি তার ধারাবাহিকতা রক্ষাকল্পে চট্টগ্রাম নগরেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  

তিনি জানান, চট্টগ্রামের বৈশ্বিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে আমাদের সরকারকে এখানে বিনিয়োগ করতে কতটুকু এবং কীভাবে আগ্রহী করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট হবো। চট্টগ্রামে যেহেতু আন্তর্জাতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন সংযুক্তি সেহেতু পর্যটন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ আইটি খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগে একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলে ফ্রান্স অবশ্যই সাড়া দেবে। এতেই বাংলাদেশ-ফ্রান্স মৈত্রী সুদৃঢ় হবে।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.  সেলিম আখতার চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ আলী, আলিয়স ফ্রঁসেসের পরিচালক ড. সেলভাম তোরেজ ও ড. গুরুপদ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad