ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রমজানের ছোলা টিসিবির ট্রাকে, খেজুর আছে ব্যানারে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২১
রমজানের ছোলা টিসিবির ট্রাকে, খেজুর আছে ব্যানারে! ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: শবে বরাতের পর থেকেই রমজানের কেনাকাটা শুরু করেন চট্টগ্রামের মানুষ।  পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেল কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে ইফতারের জনপ্রিয় পদ ছোলা।

ভালো মানের অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা ছোলা ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫৫ টাকা। তবে ট্রাকের ব্যানারে ৮০ টাকায় খেজুর বিক্রির কথা লেখা থাকলেও ট্রাকে নেই।

 
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সরেজমিন নগরের জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবের সামনে দেখা গেছে, টিসিবির ট্রাক সোয়া ১২টায় এলেও ভোক্তারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন সেই ভোরে। করোনার সংক্রমণ রোধে তিন ফুট দূরে দূরে করে দেওয়া সাদা বৃত্তে বাজারের থলে, পলিথিন চিহ্ন দিয়ে লাইনের সিরিয়াল ধরে রাখেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ। ট্রাক আসার পর বিক্রি শুরু হতে সময় লাগে আরও আধঘণ্টার বেশি।
 
ভোক্তাদের অভিযোগ, ডিলার মেসার্স এমএ সবুর অ্যান্ড ব্রাদার্সের লোকজন প্যাকেজে বিক্রি করছেন টিসিবির পণ্য। কম চাহিদার পেঁয়াজ না নিলে চিনি, সয়াবিন, ডাল বা ছোলা দিতে চান না। এতে বিপাকে পড়ছেন গরিব মানুষরা। আবার কেউ কেউ প্যাকেজে কিনে কম প্রয়োজনীয় পণ্য অন্যদের কাছে বিক্রির জন্য অনুনয় বিনয় করতে দেখা গেছে।  

ষাটোর্ধ্ব আমেনা বেগম ট্রাকের কাছে এসে জানতে চান, শুধু চিনি, সয়াবিন আর ছোলা বিক্রি করবেন কিনা। কত টাকা লাগবে? কিন্তু ডিলারের লোকজন কোনো সদুত্তর না দিয়ে শুধু বলেন, ‘লাইনে দাঁড়ান!’

আমেনা জানান, ঘরে পেঁয়াজ আছে। এখানে নাকি পেঁয়াজ না নিলে অন্য পণ্য দেওয়া হয় না।  

এখন টিসিবির ট্রাকে ৫৫ টাকায় সাদা চিনি, ৫৫ টাকায় মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটারে বোতলজাত সয়াবিন, ২০ টাকায় তুরস্কের বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ভোক্তা পর্যায়ে।  
  
টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মাসের প্রথম দিন ডিলাররা নতুন দরে পণ্যের বিপরীতে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে গুদাম থেকে পণ্য ট্রাকে ভরেছেন। তাই স্পটে যেতে একটু সময় বেশি লেগেছে। এখন থেকে একদিন আগে টাকা জমা নেওয়া হবে। ডিলারদের বলে দেওয়া হয়েছে টিসিবির নির্ধারিত পরিমাণে ভোক্তাদের পছন্দের পণ্য যাতে দেওয়া হয়।
 
তিনি জানান, প্রতিটি ট্রাকে ৪০০ কেজি ছোলা, ৮০০ কেজি চিনি, ১২শ’ লিটার সয়াবিন তেল, ৬০০ কেজি মশুর ডাল, ১ টন পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে। সব মিলে ৪ টন ভোগ্যপণ্য।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে ২২টি ট্রাকে রমজানের ভোগ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে ডিলারদের মাধ্যমে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ১টি, দীঘিনালায় ১টি, রাঙামাটির কাউখালীতে ১টি, কক্সবাজার সদরে ১টি, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ছাড়া প্রায় সব উপজেলায় ১টি করে টিসিবির ট্রাকে ভোগ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। বান্দরবান ও বাঁশখালীতে টিসিবির ডিলার নেই।  

ছোলার পর্যাপ্ত মজুদ আছে জানিয়ে জামাল উদ্দিন বলেন, ১৫ রমজান পর্যন্ত সরবরাহের মতো ছোলা আমাদের মজুদ আছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে টিসিবির ছোলা আসছে। পাইপলাইনেও কিছু চালান আছে। খেজুর রমজান শুরুর আগেই ট্রাকে দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad