ঢাকা, শনিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ জুন ২০২৪, ২৩ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মুশতারী শফী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মুশতারী শফী বেগম মুশতারী শফী

চট্টগ্রাম: বরেণ্য সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারীনেত্রী, শহীদ জায়া ও জননী বেগম মুশতারী শফী গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

বেগম মুশতারী শফী ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।

তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি, জাহানারা ইমামকে’ এবং ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’। এছাড়াও তিনি প্রবন্ধ, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর গল্পগ্রন্থ, স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ প্রভৃতি শাখায়ও অবদান রেখেছেন।
 
১৯৬০ এর দশকে তিনি চট্টগ্রামে ‘বান্ধবী সংঘ’ নামে নারীদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠন থেকে তিনি ‘বান্ধবী’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন ও ‘মেয়েদের প্রেস’ নামে একটি ছাপাখানা চালু করেন।  

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য বাংলা একাডেমি ২০১৬ সালে তাকে ‘ফেলোশিপ’ প্রদান করে। তিনি ২০২০ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘রোকেয়া পদক’।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারিয়েছেন তিনি, কিন্তু দমে যাননি। অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল সংগ্রামে একাত্ম হয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সারথী হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। শহীদ  জননীর অবর্তমানে রাজাকার-আলবদর-ঘাতকদের বিচারের সংগ্রামের গুরুদায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময় লাখো তরুণ তার কাছ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আদায়ে অবিচল থাকার শপথ নিয়েছেন। দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অসুস্থ শরীরেও মাসখানেক আগে রাজপথে নেমেছিলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।