ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সংক্রমণজনিত বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি নগরবাসীর উদ্বেগের কারণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
সংক্রমণজনিত বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি নগরবাসীর উদ্বেগের কারণ

চট্টগ্রাম: বর্জ্য পৃথককরণ কার্যক্রম ও থ্রি আর সচেতনতা বিষয় র্যা লি উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ুদূষণের বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রি আর বা রিসাইকেল, রি-ডিউস ও রি-ইউস এ তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

 

তিনি বলেন, নগরে সাধারণ বর্জ্যের পাশাপাশি মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সংক্রমণজনিত বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি নগরবাসীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতামূলক লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং, সভা-সমাবেশ ও র্যা লির আয়োজন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। জাইকা কর্তৃক বর্জ্য পৃথককরণে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য র্যা লির আয়োজন একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং গৃহস্থালিতে কঠিন-তরল-রিসাইকেল যোগ্য বর্জ্য আলাদা করতে উদ্বুদ্ধ হবেন। ফলে বর্জ্য সংগ্রহ ও পৃথককরণে কোনো সমস্যা হবে না।  

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩ নম্বর রোডে জাইকার বর্জ্য পৃথককরণ ও থ্রি আর সচেতনতা বিষয়ক র্যা লির উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।  

মেয়র বলেন, বর্জ্য অপসারণও বর্জ্যকে শক্তিতে পরিণত করতে জাইকা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। এতে বর্তমান ও ভবিষ্যতে দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তোলার সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে।  

স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, জাইকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের টিম লিডার মাসাহিরো সাইতো। বক্তব্য দেন কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হক চৌধুরী বাবুল, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির সহসভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর পারভেজ, মো. মাকসুদুর রহমান, মোহাম্মদ সাজ্জাদ প্রমুখ।

মেয়র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও নগরবাসীকে এই প্রক্রিয়ায় শামিল হয়ে দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  

মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন মূলত সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দেশি-বিদেশি সংস্থার সহায়তা নিয়ে নগরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। চসিকের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প জাইকা বাস্তবায়ন করেছে যার সুফল নগরবাসী ইতোমধ্যে পেয়েছেন। আশা করি সামনে আরো ভালো ফল পাবে।
জাইকার টিম লিডার মাসাহিরো সাইতো বলেন, উৎস থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে আমরা যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি এর সুফল নগরবাসী পাবে।

তিনি বলেন, মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে পরিবহন, পৃথককরণ ও ইন্সেনেরেটরের মাধ্যমে বর্জ্য ভস্মীভূত করণের জন্য সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দূষণমুক্ত পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে।

কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিসহ অন্যান্য সোসাইটিতেও দুই রঙের দুইটি বিন সরবরাহ করতে পারলে বর্জ্য সংগ্রহে পৃথককরণ করা সহজ হবে বলে মত প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশ সময়ঃ ২১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।