ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাস্থ্য রক্ষার টিকাকেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
স্বাস্থ্য রক্ষার টিকাকেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: মুখে নেই মাস্ক, নেই সামাজিক দূরত্ব। আবার দাঁড়িয়ে আছেন গাদাগাদি করে।

দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনও টিকাদান কেন্দ্র। নগরের আসকার দিঘির পাড় রীমা কমিউনিটি সেন্টারের চিত্র এটি।
 

একই দৃশ্য দেখা গেছে সিরাজউদ্দৌল্লা রোডের হল সেভেন-ইলাভেন ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের আব্দুল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের টিকাদান কেন্দ্রে।

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মত শুরু হওয়া ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম চলছে এই তিন কমিউনিটি সেন্টার ছাড়াও নগরের ৫টি স্কুলে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।

সরেজমিন দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন। অধিকাংশ অভিভাবকের মুখে নেই মাস্ক। টিকার জন্য শিশুদের লম্বা লাইন ছাড়িয়েছে নির্দিষ্ট সীমার গণ্ডি। টিকা কেন্দ্রের হ য ব র ল অবস্থা নিয়ে সদুত্তর নেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের।  

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল হোসাইনী বাংলানিউজকে বলেন, টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড় দেখে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। প্রয়োজনে প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার অর্ধেক করে পরবর্তীতে আরও একদিন কার্যক্রম চালানো হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং উপজেলাগুলোতে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। যারা টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আসবে না, তাদের ক্লাসে আসতে দেওয়া হবে না।

এদিকে, নগরের পাশাপাশি ১৪ উপজেলায় চলছে টিকাদান কার্যক্রম। এসব উপজেলায় লোকবলের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা.ইলিয়াছ চৌধুরী।

তিনি জানান, শুধু নগরেই ৬৫টি বুথে এ কার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক নির্দেশনায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনা প্রতিরোধে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২-১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।