ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভুল চিকিৎসা: নেত্রনালীর চিকিৎসা না করে লাগিয়ে দিলেন লেন্স!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
ভুল চিকিৎসা: নেত্রনালীর চিকিৎসা না করে লাগিয়ে দিলেন লেন্স!

চট্টগ্রাম: নেত্রনালীর সমস্যায় ভুগছিলেন নগরের দেওয়ান হাট এলাকার হালিমা। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেই পরামর্শ দিলেন অস্ত্রপাচারের।

কিন্তু নেত্রনালীর অপারেশন না করে চিকিৎসক ভুল করে লাগিয়ে দিলেন চোখের ল্যান্স। ঘটনাটি চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের।
এ নিয়ে খুলশি থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর স্বজন।

সোমবার (৯ জানুয়ারি)  মামলা বিষয়টি জানিয়েছেন খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ডা. মিজানুল হক নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আবুল হোসেন আকাশ নামে এক ব্যক্তি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।  

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী হালিমা নেত্রনালী সমস্যা নিয়ে লায়ন্স হাসপাতালে ডা. ফারহানা আফরোজের শরনাপন্ন হন। তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নেত্রনালী অপারেশনের পরামর্শ দেন এবং ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিজানুল হকের কাছে পাঠিয়ে দেন। গত ৮ জানুয়ারি অপারেশনের তারিখ ঠিক হয়। কথা ছিল ৬ হাজার টাকায় হবে অপারেশন। কিন্তু অপারেশন শেষে চিকিৎসক জানান, চোখের লেন্স লাগানোর কারণে খরচ পড়েছে ১৫ হাজার। রোগীর স্বজনরা ১৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১২ হাজার টাকায় নেমে আসে চিকিৎসক। এ সময় রোগী হালিমা জানান, তার নেত্রনালীর অপারেশন না চোখের লেন্স লাগিয়েছেন চিকিৎসক। রোগীর এমন অভিযোগের পর চিকিৎসক কিছু না বলে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন। পরে হালিমার চোখে ব্যাথা অনুভব করলে ও চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু হলে চিকিৎসক মিজানুল হককে বারবার ডাকার পরও তিনি আর হাসপাতালে আসেন নি।  

অভিযোগকারী রোগীর ভাই আবুল হোসেন আকাশ বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা করে আমার বোনকে হাসপাতালে রেখে চলে যান। আমার বোনের এমন অবস্থার পরও হাসপাতালের কেউ আমাকে সহায়তা করেনি। বাধ্য হয়ে আমাকে মামলা দায়ের করতে হয়। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।  

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে লায়ন চক্ষু হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক চেম্বারে থাকা স্বত্তেও প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে হাসপাতালে অনুসন্ধান কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে ডা. মিজান কয়েকদিনের জন্য ছুটিতে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।