ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেয়ে হত্যার বিচার চান মা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
মেয়ে হত্যার বিচার চান মা

চট্টগ্রাম: শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে জেসমিন আক্তারকে (১৮) হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহত জেসমিনের মা ওয়াছ খাতুন।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

 

এসময় হত্যা জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।  

নিহত জেসমিন আক্তার ফটিকছড়ি উপজেলার পশ্চিম সুন্দরপুরের কান্দির পাড় এলাকার চিকন মিয়া মিস্ত্রী বাড়ির আবদুর রহিমের ছোট মেয়ে।

 

সংবাদ সম্মেলনে জেসমিনের মা অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন আগে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার দৌলতপুরের নুরুল আলমের পুত্র প্রবাসী মো. আরফাতের সঙ্গে মোবাইলে জেসমিনের পরিচয় এবং  প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।  

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আরফাতের সঙ্গে ভিডিও আকদ হয় জেসমিনের। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেসমিনকে বাসায় নিয়ে যায়। জেসমিনের বাবা মা  বিষয়টি জানতে পেরে আরফাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সামাজিকভাবে ১০ লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য করে নিকাহনামা রেজিষ্ট্রি করতে রাজি হয়। বিবাহের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে আরফাতের পরিবারের সদস্যরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে জেসমিনকে। শেষ পর্যন্ত আরফাতের নির্দেশে তার পরিবারের সদস্যরা জেসমিনকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কয়েকদিন পর জেসমিনের শাশুড়ি নাহারু বেগম (৫০) জেসমিনকে বাসায় নিয়ে আসে। কিন্তু গত ১৮ মে পরিবারের সদস্যরা জেসমিনকে বাসার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে।  

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ সেটি গ্রহণ না করে ছিঁড়ে ফেলে। উল্টো তারা নিজেরা একটি অভিযোগ টাইপ করে আমাকে দস্তখত দিতে বাধ্য করে। এরপরও থানার ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবা যোগাযোগ করেও কোন সহযোগিতা পাইনি। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
এমআর/টিসি


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।