ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিকল্প শহীদ মিনার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
বিকল্প শহীদ মিনার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নতুনভাবে তৈরির জন্য ভাঙা হয়েছে। তাই বিকল্প শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নতুন এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে। তাই চলতি সপ্তাহেই শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করার লক্ষ্যে দ্রুত চলছে নির্মাণকাজ।

গণপূর্ত অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজ শেষ হবে আগামি ৮ মাসের মধ্যে। তার আগে ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চের জাতীয় দিবসে বিকল্প শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ।  

এর আগে মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে বিকল্প শহীদ মিনার নির্মাণকাজ শুরুর নির্দেশনা দেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কার কাজ চলাকালীন ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বরসহ জাতীয় দিবসগুলো পালনে যাতে কোনও ব্যাঘাত না হয়, সেজন্য সিটি করপোরেশনের স্কুল প্রাঙ্গণে বিকল্প শহীদ মিনার তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে স্কুল প্রাঙ্গণে বিদ্যমান যে শহীদ মিনার আছে সেটি কোনও অবস্থাতেই ভাঙা যাবে না। সেটিও ঠিক রাখতে হবে’।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে বিকল্প শহীদ মিনারটি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। বিকল্প হলেও সেটি হবে স্থায়ী শহীদ মিনার।

দেখা গেছে, উঁচু বেদিতে ছয় স্তম্ভের মিনার তৈরি করা হয়েছে। রঙের কাজ শেষে এখন চলছে বেদিতে ওঠার সিঁড়ি নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট হল ভেঙে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। ২৩২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। প্রকল্পের অধীনে মুসলিম ইন্সটিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরি ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আট তলা অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

রাস্তার বিপরীত পাশে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অংশে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় ২৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ এবং পশ্চিম পাশে নিচতলায় ক্যাফে ও দুই তলায় মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। আর মাঝখানে থাকবে শহীদ মিনার। উভয়পাশের সংযোগ ঘটাতে রাস্তার ২১ ফুট ওপর দিয়ে হাঁটার ব্যবস্থা ও একটি প্লাজা নির্মাণ করা হবে।  

গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে স্থাপনাটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ চলছে। আশা করছি, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে নতুন নির্মিত শহীদ মিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।