ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম ভ্যালির চা উৎপাদন বাড়াতে মতবিনিময়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
চট্টগ্রাম ভ্যালির চা উৎপাদন বাড়াতে মতবিনিময় ...

চট্টগ্রাম: ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও খরা ও বিলম্বিত বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম ভ্যালির ২৩টি চা-বাগানে তুলনামূলক কম চা উৎপাদন হয়েছে। এ ছাড়াও আগাম প্লাকিং, যথাযথ প্রুনিং সাইকেল অনুসরণ না করা ও পোকামাকড়ের আক্রমণও চট্টগ্রাম অঞ্চলে চা উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চা বোর্ডের অনলাইন জুম প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম ভ্যালির বাগানগুলোতে ২০২১ সালে তুলনামূলক কম চা উৎপাদন হওয়ার কারণ পর্যালোচনা এবং উত্তরণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাগান ব্যবস্থাপকদের অংশগ্রহণে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে বাংলাদেশ চা শিল্প ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ দশমিক ৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপন্ন করে নতুন রেকর্ড গড়েছে। তবে গত বছর (২০২১) অন্য সব ভ্যালিতে চা উৎপাদন ২০২০ সালের চেয়ে বেশি হলেও চট্টগ্রাম ভ্যালির ২৩টি বাগানে ৯ দশমিক ৫২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে যা ২০২০ সালের তুলনায় কম।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম ভ্যালির ২৩টি বাগানের মধ্যে ২০টিতে পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে তুলনামূলক কম চা উৎপাদিত হয়েছে।

আগামী বছর এ অঞ্চলের চা বাগানে উৎপাদন বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে চা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে অর্গানিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি, সঠিক প্রুনিং সাইকেল অনুসরণ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রোগবালাই দমনসহ সমন্বিত পরিকল্পনা নিলে চট্টগ্রাম ভ্যালিতে চা উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হবে।  

তিনি এ অঞ্চলের বাগানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর আওতাধীন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটউট এবং প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের সার্বক্ষণিক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তার আশ্বাস দেন।

সভায় চট্টগ্রাম ভ্যালির চেয়ারম্যান ও উদালিয়া চা বাগানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর বিলম্বিত বৃষ্টিপাত, খরা, দুর্বল সেচ ব্যবস্থাপনা ও প্রুনিং পদ্ধতিতে পরিবর্তনের ফলে চা উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ বছর চায়ের উৎপাদন ভালো হবে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী, সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী এবং প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক চট্টগ্রাম ভ্যালির চা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় বিষয়ে মতামত দেন।

সভায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমদ চট্টগ্রাম ভ্যালির চা উৎপাদনের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মাদ রুহুল আমীন, বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রাম ভ্যালির নেপচুন, কর্ণফুলী, উদালিয়া, হালদা ভ্যালি, আধারমানিক, ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানের প্রতিনিধি এবং সিলেট ভ্যালির চেয়ারম্যান, জেরিন ও নিউসমনবাগ চা বাগানের ম্যানেজার সভায় অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।