ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবির শাটল: প্রতি বগিতে দুই-তিনশ’ শিক্ষার্থীর যাতায়াত 

মোহাম্মদ আজহার, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
চবির শাটল: প্রতি বগিতে দুই-তিনশ’ শিক্ষার্থীর যাতায়াত  ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: তিল ধারণের জায়গা না থাকলেও বাকিদের সহযোগিতায় ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে কোনোমতে ওঠার সুযোগ হয়েছে ট্রেনে। ধরেই নিয়েছিলাম, এই বগিতে আমার পরে আর একটা মানুষও ওঠার মতো জায়গা অবশিষ্ট নেই।

অথচ এরপরও দেখা গেল একের পর এক শিক্ষার্থী খুব কষ্ট করে ট্রেনে উঠছে। একটু জায়গা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে বাকিদের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেনের এখন নিয়মিত দৃশ্য এটি। কথাগুলো বলছিলেন শাটলে যাতায়াত করা একজন শিক্ষার্থী। যদিও একই বক্তব্য পাওয়া যাবে সম্প্রতি চবির শাটলে চড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছেই।  

মাইলেজ ইস্যুতে তিন জোড়া শাটল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী দিনের শুরুতে একমাত্র ট্রেন সকাল ৮টায়। সাধারণত শাটলের শিডিউলের সঙ্গে মিল রেখেই অধিকাংশ বিভাগে প্রতিদিন ক্লাসের সময় নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে সকাল ৮টার ট্রেনে গেলেই করা যায় ক্লাসগুলো। কারণ এরপরের ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০টায়। এ ট্রেনে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতেই বেজে যায় বেলা ১২টা। তাই কমবেশি সব শিক্ষার্থীর এখন একমাত্র ভরসা চবির সকাল ৮টার ট্রেন।  

মহামারির পর চবি শিক্ষার্থীদের জন্য শাটলে যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ বিভাগেই চলছে পুরোদমে ক্লাস ও পরীক্ষা। নতুন বর্ষের শিক্ষার্থীদের আগমনে ভিড় বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ। কিন্তু নিয়মিত চলা ৭ জোড়া শাটলের মধ্যে ৩ জোড়া শাটল বন্ধ দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময়। বাকি ৪ জোড়া শাটলে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতি বর্গফুট জায়গায় দাঁড়িয়ে যাতায়াত করছে একাধিক শিক্ষার্থী। ৬০-৭০ জন ধারণক্ষমতার বগিগুলোর অধিকাংশ বগিতেই যাতায়াত করছে ২০০-৩০০ শিক্ষার্থী। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এটিই চবির শাটলের এখন নিয়মিত দৃশ্য।

চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, লোকোমাস্টার সংকটের কারণে শাটল নিয়মিত শিডিউলে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। উপাচার্য মহোদয় আজও রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দুইবার কথা বলেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। তবে শাটলের বিকল্প হিসেবে আমরা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য আগামীকাল থেকে কিছু বাস সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে- বটতলী থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ক্যাম্পাসে ২টি বাস আসবে। দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে ২টি বাস এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় জিরো পয়েন্ট থেকে শহরমুখী ২টি বাস নিয়মিত শিডিউলে শাটল চালু হওয়ার আগপর্যন্ত চলবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শাটলের শিডিউল স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। তবে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছি না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।