চট্টগ্রাম: দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় অসংখ্য মাইলফলক ছুঁয়েছে। তবে কিছু ঘাটতিও রয়েছে, যেগুলো আমাদের স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সৃষ্ট আন্দোলনে যে স্বাধিকারের বীজ বপন হয়েছিল, তা সযত্নে লালন-পালন করে স্বাধীন মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পরিণত মহীরূহে রূপান্তরিত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে পেশাজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান।
চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট চিকিৎসক একিউএম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপিকা ড. সেলিনা আখতার, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ হারুন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- আমার রাজনীতির মুক্তি হয়েছে। আমার অর্থনীতির মুক্তি প্রয়োজন। এটা না হলে স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে। যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়, যদি বাংলার মানুষ সুখে বাস না করে, বাংলার মানুষ যদি অত্যাচার, অবিচারের হাত থেকে বাঁচতে না পারে তো এ স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে। তাঁর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিকসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস থেকে জ্ঞান নিয়ে নেতৃত্ব গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় এখন থেকে যুক্ত হতে হবে, না হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন, তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ৭২এ অসাম্প্রদায়িক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানের মূল কথা ছিল প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। এই মালিকানা সঠিক ভাবে অর্জন করার জন্য আমাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
বইমেলা মঞ্চে সোমবার (৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬ , ২০২২
এআর/টিসি