ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪২ লাখ টাকা ফাঁকির চেষ্টায় দিতে হলো ১ কোটি ৩০ লাখ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
৪২ লাখ টাকা ফাঁকির চেষ্টায় দিতে হলো ১ কোটি ৩০ লাখ! কোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ঘোষণার চালানে উচ্চশুল্কের ১২০ টন ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট এসেছে।

চট্টগ্রাম: চীন থেকে কোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ঘোষণায় আনা চালানে উচ্চশুল্কের ১২০ টন ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট পেয়েছে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। এ চালানে ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে।

এ পণ্যচালানে ঘোষিত বিবরণ অনুযায়ী শুল্ক কর ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৩ টাকা। কায়িক পরীক্ষায় প্রাপ্ত পণ্য অনুযায়ী শুল্ক কর ও জরিমানা বাবদ ১ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৬২৫ টাকা ঘোষণার অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে।
 

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বংশালের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এনবি ট্রেডিং হাউসের নামে চীন থেকে ৫টি কনটেনারে চালানটি বন্দরে আসে। এ চালান খালাসে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের এমএন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গত ৩০ মার্চ এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। চালানটি আমদানিতে এলসি ইস্যু করেছে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড। চালানটি চীন থেকে গত ১৫ মার্চ জাহাজীকরণ হয়েছিল।

কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রফতানিকারক, তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে এ চালানে অসত্য ঘোষণার প্রাথমিক ধারণা পায়। এরপর এআইআর চালানটি খালাস স্থগিত রাখতে বিল অব এন্ট্রি লক করে। গত ৬ এপ্রিল চালানটি বন্দরের ভেতরে খুলে এআইআর টিম পরীক্ষা করে।  

কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা রোববার (৮ মে) জানান, ওই চালানে ৪ হাজার ৮০০ বস্তা শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় দেখা গেছে ব্রাউন কালারের বস্তাগুলোর ওপর আঁঠা দিয়ে লাগানো সাদা কাগজে প্রিন্ট করে কোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট লেখা রয়েছে। কিন্তু বস্তা খোলার পর সাদা পলিথিনের বস্তায় ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট পাওয়া যায়। মোট ১২০ টন ডেক্সট্রোজ পাওয়া গেছে, যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য দাম ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এ চালানে ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে।  

তিনি জানান, এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের প্রক্রিয়া চলছে। কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর সেকশন ৩২ ভঙ্গ ও সেকশন ১৫৬ (১) এর টেবিলের ১৪ অনুযায়ী আমদানিকারকের ওপর ৮৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।  

এ পণ্যচালানে ঘোষিত বিবরণ অনুযায়ী শুল্ক কর ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৩ টাকা। কায়িক পরীক্ষায় প্রাপ্ত পণ্য অনুযায়ী শুল্ক কর ও জরিমানা বাবদ আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫৯ টাকা। ১ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৬২৫ টাকা ঘোষণার অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।