চট্টগ্রাম: নগরের টেরিবাজার থেকে জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা ও ব্যবসায়ী মনসুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামায়াতের কোতোয়ালী থানার আমির ফরিদুল আলমসহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে কোতোয়ালী থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণের উপ- পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দীন।
আটককৃতরা হলেন- কোতোয়ালী থানা জামায়াতের আমির মো. ফরিদ আলম (৪৭), কোতোয়ালী থানা দক্ষিণ শাখা জামায়াতের প্রধান সমন্বয়কারী ফরিদ উদ্দীন (৪৪), বায়তুল সম্পাদক মো. নুরুল কবির (৬৫), দফতর সম্পাদক এমদাদ উল্ল্যাহ (৩৪), জামায়াতের রোকন সাইফুদ্দিন খালেদ (৩৫), জামায়াতের বক্সিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ জোগানদাতা আবুল মনছুর (৫০), টেরিবাজার শাখা জামায়াতের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির (৫০), টেরিবাজার কাটাপাহাড় শাখা জামায়াতের সভাপতি রাশেদুল করিম রাশেদ (৩৪), সহ-সভাপতি হাফেজ মো. তাজুল ইসলাম (৩৮), মোহাম্মদ ইসরাফিলসহ বাকি ৩৯ জন জামায়াতের কর্মী সমর্থক।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণের উপ পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে টেরিবাজার আল বয়ান হোটেল অভিযান চালিয়ে ৪৯ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একাধিক জন জামায়াতে পদধারী নেতা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা টেরিবাজারের গোপন বৈঠক করছিল। কোতোয়ালী থানা জামায়াতের আমিরসহ ১৭ জন পদধারী নেতা আছেন। আটককৃতদের মধ্যে অর্থ জোগানদাতা আবুল মনসুর পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত-শিবিরকে নানাভাবে অর্থায়ন করে আসছেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পদধারী নেতাদের আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এমআই/টিসি