ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দরে কোকেন জব্দ: মাদক মামলায় হয়নি সাক্ষ্য গ্রহণ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
বন্দরে কোকেন জব্দ: মাদক মামলায় হয়নি সাক্ষ্য গ্রহণ  ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক মামলায় সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। চোরাচালান আইনের মামলায় মো. ওসমান গনি নামের আরও একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জুন) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে আদালত আগামী ৩ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

সাক্ষী মো. ওসমান গনি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি তখন বন্দর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

২০১৫ সালের ৭ জুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটকের পর সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। পরে আদালতের নির্দেশে কনটেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও  তার ভাই গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর এজাহারভুক্ত আসামি নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মাদক আইনের অংশের অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান। একই বছর ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হয়। প্রধান আসামিকে বাদ দেওয়ায় ওই সময় অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেননি আদালত। আদালত অভিযোগপত্র প্রত্যাখান করে তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য র‌্যাব-৭ কে দায়িত্ব দেন। এরপর আদালত ওই মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযুক্তির নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল মাদক আইনের মামলায় নূর মোহাম্মদকে অভিযুক্ত করে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন র‌্যাব কর্মকর্তা তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।  

পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মাদক মামলায় সাক্ষী না আসায় সময়ের আবেদন করা হয়েছে। চোরাচালান মামলায় পুলিশ পরিদর্শক  মো. ওসমান গনি আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি গত ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাদক মামলায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছিলেন। এই নিয়ে মাদক মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ২৬ জন এবং চোরাচালান মামলায় ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামী ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ২৯ জুন, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।