ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাহিদা বেশি মাঝারি আকারের গরুর

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
চাহিদা বেশি মাঝারি আকারের গরুর ছবি: উজ্জল ধর

চট্টগ্রাম: বেচাকেনা এখনও জমে না উঠলেও চট্টগ্রামে হাটগুলোতে বাড়ছে গরু ছাগলের সংখ্যা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এসব গরু আকারেও যেমন বড়, দামও চড়া।

কিন্তু বাজারে বড় গরুর যোগান থাকলেও মাঝারি ধরণে গরুর চাহিদা বেশি বলছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।

সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে নগরের বিবির হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু এনেছেন ব্যাপারীরা।

ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়ালসহ দেশি বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে এ বাজারে। তবে গরুর সংখ্যা বেশি হলেও তেমন ক্রেতা নেই বাজারে। যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগেরই চাহিদা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু। বাজারে ছোট আকারের গরু ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারে গরু ৮০ থেকে ১ লাখ টাকায় বেচা কেনা হচ্ছে।  

বাজারে আসা একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, গরু রাখার জায়গা না থাকায় এত তাড়াতাড়ি গরু কেনা হচ্ছে না। ফলে ঈদের ২/১ দিন আগেই গরু কিনতে চান তারা।  

বিবিরহাটে গরু নিয়ে আসা ফরিদপুরের মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, লাভের আশায় মধুখালী থেকে গরু নিয়ে এসেছি। হাটে এখনও ক্রেতার ভীড় শুরু হয়নি। তবে গরু আছে অনেক। এবার সবাই এসে শুধু মাঝারি গরু খুঁজছেন। ১৫টি গরু এনেছি। এর মধ্যে একটিও বিক্রি হয়নি। ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরুর সর্বোচ্চ দাম বলছে ৩ লাখ লাখ টাকা।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ২৩ টি গরু নিয়ে আসা ডালিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, নিজের খামারের ও স্থানীয় বাজার থেকে কিনে ২৩ টি গরু নিয়ে এসেছি। এখনো একটি গরুও বিক্রি হয়নি। ক্রেতা গরু দাম জিজ্ঞাসা করছে কিন্তু দামাদামি করছেনা। বাজারে সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ভাল, বাজারে প্রচুর পুলিশ রয়েছে। আসার সময় কোনো চাঁদাবাজির স্বীকারও হয়নি।  

বিবির হাট গরুর বাজারের ইজারাদার মো. রেজাউল করিম রিটন বাংলানিউজকে বলেন, বিবির হাট বাজারে ১০ হাজার মতো গরু উঠেছে। এখনো গরু বিক্রি তুলনামূলক কম। মানুষ বাজারে আসেন বিকেলে। দুপুর ১ টা পর্যন্ত প্রায় ৮০টি গরু বিক্রি হয়েছে। বাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।  

বিবিরহাট বাজারে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড মুরাদপুর শাখার বুথে দায়িত্ব থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন বাংলানিউজকে বলেন, জাল টাকা সন্দেহে দুই ব্যক্তি আমাদের কাছে টাকা নিয়ে এসেছিল। কিন্তু টাকাগুলো জাল ছিলনা।  

বিবিরহাট গরুর বাজারে কর্মরত পাচঁলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুর রহমান সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, সিনিয়র স্যারদের নির্দেশনায় আমরা গরুর বাজারে দায়িত্ব পালন করছি। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাজারে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিশেষ করে জাল টাকার বিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।