চট্টগ্রাম: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়ের ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটির সব শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯-এর বুস্টার ডোজ দিতে বুধবার (২০ জুলাই) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সহযোগিতায় ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে দু’দিনব্যাপী এ কর্মসূচি ২১ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ এবং ২২ ও ২৩ জানুয়ারি ২০২২ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। বুস্টার ডোজ টিকা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় সরবরাহকৃত টিকা কার্ড, নিজ নিজ স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এবং সুরক্ষায় নিবন্ধিত টিকা কার্ড (২ কপি) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০ জুলাই সকাল থেকে টিকা নিতে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে।
টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহিন, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহেদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত, চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের হেলথ এডুকেটর সম্পদ দে, ম্যাক্স হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জনপ্রসাদ দাশগুপ্ত এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টবৃন্দ।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, সারা বিশ্বকে শঙ্কায় ফেলে দেওয়া করোনা আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখনও করোনা সংক্রমণ রয়ে গেছে। আবারও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে করোনার যেকোনো সম্ভাব্য ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় সরকারের জনস্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাগুলো প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের টিকা কার্যক্রম বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশে করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারেনি। আমেরিকা-যুক্তরাষ্ট্রের লোকসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি হলেও সেখানে মৃত্যু ১০ লাখ। বাংলাদেশের লোকসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি হলেও মৃত্যু মাত্র ২৯ হাজারের সামান্য বেশি। বাংলাদেশের এই সার্থকতার পেছনে টিকা কার্যক্রম বড় ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করতে পারেনি। কারণ আমাদের সরকার অচিন্ত্যনীয় পারদর্শিতার সঙ্গে টিকা কার্যক্রম এবং চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহিন বলেন, করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনার টিকা আবিষ্কার ও টিকাদান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে তাঁর যুগান্তকারী পদক্ষেপ হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতেও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের বড় সফলতা এটাই যে, এই সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা জুলাই ২০, ২০২২
এআর/টিসি