ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত জাতিসমূহের মুখপাত্র: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত জাতিসমূহের মুখপাত্র: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের ইতিহাসের কালপঞ্জিতে আগস্ট শোকের মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শোষিত, নির্যাতিত, শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতির ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং ’৭১-এর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

বঙ্গবন্ধুর বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার দর্শন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর জীবদ্দশায়।  

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত জাতিসমূহের মুখপাত্র।

আমাদের চরম দুর্ভাগ্য ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপ্রেমী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আলোকাভিসারী এক জাতিকে পশ্চাৎপদতার অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক চেয়ারম্যান স্মৃতি গণপাঠাগারের উদ্যোগে এবং সমাজ, সংস্কৃতি, উন্নয়ন, মানবাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তার জবাবদিহিমূলক সংগঠন ‘আমরা করবো জয়’-এর সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ১ লাখ টাকার ‘মুজিব-ইন্দিরা স্মৃতি প্রণোদনা’ অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তাঁর নিষ্ঠাবান ঘনিষ্ঠ সহচরদেরও যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে স্মরণ করতে হবে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, রাউজানের প্রান্তিক জনপদে মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক চেয়ারম্যান গণপাঠাগার যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হতে পারে।  

পাঠাগারের প্রণোদনা প্রদান উদ্যোগকে একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন অভিহিত করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সময়োপযোগী উদার রাজনীতি দর্শনের ধারক ও বাহক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর উদারনৈতিক রাজনৈতিক দর্শন শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বের জন্য সমান প্রয়োজনীয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ১১ নম্বর পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, রাউজানে সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক চেয়ারম্যানের নামে এ গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  

সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক চেয়ারম্যান গণপাঠাগারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।