চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, খুনি জিয়াউর রহমান সেনা আইন লঙ্ঘন এবং সংবিধানকে পদদলিত করে সামরিক উর্দি পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার ট্র্যাজেডির মূল পরিকল্পক ছিলেন। এরপরও তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়ে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে চেয়েছিলেন।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করার পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াত এবং চিহ্নিত স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী অপশক্তির দ্বারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা একটি সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধ উপায়ে উৎখাত করার জন্য অতীতে যে সব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেই দুঃসহ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে মাঠে নামলেও তাদের আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে প্রতিহত করবে, এমনকি চিরতরে নির্মূল করার ব্রত পালন করে যাবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের যে দুর্ভোগ ও কষ্টগুলো হচ্ছে তা সাময়িক। তবে এই পরিস্থিতিতে কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী এবং তাদের সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে চাইবে তারা সরকার ও প্রশাসনের নজরদারিতে আছে। তারা যতবড় প্রভাবশালী হোক না কেন কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার এবং পরিবহন সেক্টরে সরকারিভাবে যে দ্রব্যমূল্যের দাম ও ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে কিনা সেজন্য সার্বক্ষণিক নজরদারি করে যথোপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফুল হক খুশির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহমদ, শওকত আলী, আমিনুল হক সওদাগর, আলমগীর আলম, আবু সৈয়দ খান, হাসান মিয়া ও মনসুরুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
এমআই/টিসি