চট্টগ্রাম: বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ার মামলায় সাড়ে ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি বিচার কার্যক্রম। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারটির তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে নিহত হন ১৩ জন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। মামলায় মোট সাক্ষী করা হয় ২৭ জন। বর্তমানে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত আটজন হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশরাফ হোসেন রিয়াজ, ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতের চলমান ছিল। ২০২০ সালে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি এসেছে। আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। গত রোববার আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিল কিন্তু সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনার মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেট কারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এমআই/টিসি