ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৮ বছর চাকরি করেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ, উল্টো জুটেছে মামলা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
১৮ বছর চাকরি করেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ, উল্টো জুটেছে মামলা 

চট্টগ্রাম: দীর্ঘ ১৮ বছর চাকরি পর পাওনা না দিয়ে উল্টো জোরপূর্বক চাকরিচ্যুতি, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি (আকাই ব্রান্ড) লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগঠন সংবাদ সম্মেলনে এসে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৌলভী পুকুর পাড়ের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. তসলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, কোম্পানিটির যাত্রার শুরু থেকেই ইনচার্জরা ছিল।

নিয়োগের পত্রের শর্ত অনুযায়ী প্রতি জন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ৩, ৫ ও ৮ লাখ টাকা করে জামানত প্রদান করেন এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক ও ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নেন কোম্পানি। উক্ত টাকা কোম্পানি কর্তৃক লভাংশসহ অবশ্যই ফেরত প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে তসলিম উদ্দীন আরও বলেন, ২০২০ সালে কোম্পানির এমডি ও তার দোসরা নীলনকশা বাস্তবায়নের সুযোগ পায়। বৈশ্বিক করোনা মহামারি তথা আমাদের দেশে করোনার প্রকোপ বাড়াতে দোকানপাট মার্কেটসমূহ বন্ধ থাকায় ও বেচাবিক্রি কম হওয়ার অজুহাতে শাখা ম্যানেজারদের বিনা নোটিশে ছাটাই করে দেয়। পুনরায় এক জন বিতর্কিত ব্যক্তি দিয়ে বিভিন্ন ডিপো ও শাখাসমূহে মনগড়া অডিট করে। এতে সুনির্দিষ্টভাবে শাখা ম্যানেজারদের ওপর দেনার দায় চাপায়। চাকরিতে নিয়োগকালীন সময়ে জমা নেওয়া প্রতিজনের জামানতের টাকা ফেরত প্রদান না করে উল্টো কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করেছি মর্মে আমাদের নোটিশ প্রদান করে। এছাড়াও প্রত্যেকটি ম্যানেজারদের ব্যক্তিগত বীমা করিয়ে দেয় কোম্পানি। উক্ত বীমা ম্যানেজার ইনসেন্টিভ বাবদ প্রাপ্য টাকা থেকে ২০০-৪০০ টাকা করে প্রতি মাসে বীমার কিস্তির জন্য কেটে নেয়া হতো। কিন্তু ঐ বীমা বর্তমানে ম্যানেজাররা যাতে কোনো রকম দাবি করতে না পারে সেজন্য ভুয়া মামলার কপি দিয়ে বীমার টাকার দাবি আদায় বন্ধ করে দেয়। এতে ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা ও জামানতসমূহ ফেরত চাইলে আমাদের নামে বিভিন্ন আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। একদিকে করোনাকালীন সময়ে আমরা বেকার হয়ে পড়ি অন্যদিকে মামলার হুলিয়া কাঁধে নিয়ে অসহায় নির্যাতিত অবস্থায় অতি কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন যাপন করি। আমাদের ওপর মিথ্যা মামলার বোঝা চাপানো ও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার বিষয়ে আইনি সহায়তা পেতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহল ও সংশ্লিষ্ট মহলের নিকট বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থতি ছিলেন ভুক্তভোগী ইয়াসমিন আক্তার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এফডিবি ব্রাঞ্চ দাগনভূঁইয়া ফেনী, আবদুল গাফ্ফার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সিটি গেইট শাখা পাহাড়তলী, রনি বড়ুয়া ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বহদ্দারহাট ব্রাঞ্চ,  মো. বোরহান উদ্দিন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার চকরিয়া কক্সবাজার, মো. রিয়াদ উদ্দিন রকি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার চৌমুহনী নোয়াখালী, আপেল মাহমুদ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রায়পুর লক্ষ্মীপুর শাখা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
বিই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad