ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি: দুর্যোগকালে ৬০ শিক্ষার্থীকে রেখে পরীক্ষা নিলো আরবি বিভাগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
চবি: দুর্যোগকালে ৬০ শিক্ষার্থীকে রেখে পরীক্ষা নিলো আরবি বিভাগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে অনেকেই আটকে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে। এমন দুর্যোগকালেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাস্টার্স পরীক্ষা।

 

জানা গেছে, ঘুর্ণিঝড়ের কবলে পড়া উপকূলীয় অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানান সহপাঠিরা। কিন্তু এরপরও কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে মাস্টার্সের ৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা বয়কট করেন।

ফলে মঙ্গলাবর (২৫ অক্টোবর) মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আরবি বিভাগের মাস্টার্সের ৫০৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন করে বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরবি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাদের অনেকেই আবার স্বপরিবারে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। এসব বিষয় বিভাগের শিক্ষকদের জানানোর পরও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বয়কট করেন। পরে শিক্ষকদের বিভিন্নরকম চাপের মুখে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন।  

গতরাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আরবি বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী আবুল ফয়েজ বাংলানিউজকে বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে আমাদের লোকালয়ে পানি ঢুকে। আমরা পুরো পরিবারসহ গতকাল রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলাম। নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ না থাকায় ফোনে সরাসরি কথা বলাও সম্ভব হয়নি। যেখানে জীবন বাঁচানো দায়, সেখানে পরীক্ষা! তবুও বিষয়টি আমি বিভাগের সভাপতিকে জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্তু এতে কোনও কাজ হয়নি। শিক্ষকরা আমাদের অসহায়ত্বের কথা একবারও চিন্তা করলেন না।

আরবি বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আটকা পড়লে সেটা আমাদেরকে জানাতে হবে। কিন্তু এটা আমাদেরকে কেউ জানায়নি। এ ব্যাপারে কেউ আমাদেরকে কোনও তথ্য দেয়নি। তারা পরীক্ষা না দেওয়ার জন্যই মূলত ঘুর্ণিঝড়ের অজুহাত দেখিয়েছে। বিভাগের সকল শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং করেই আমরা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।