ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আট মাসেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি 

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
আট মাসেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি  ...

চট্টগ্রাম: মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণার সাতদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কথা থাকলে প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি।  

এতে হতাশ হয়ে অনেক নেতা-কর্মী দলীয় কর্মসূচিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

ফলে মহানগরে দলটির সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হওয়ার শঙ্কা করছেন নেতারা। একাধিক নেতাদের অভিযোগ, দলীয় বিধি মেনে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
২০০১ সালে সর্বশেষ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি ২০ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।

দলের মহানগর পর্যায়ের নেতারা বলেন, কাউন্সিলরদের মতামত অথবা ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও ২০২১ সালের ১৯ জুন চট্টগ্রাম স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রায় ৯ মাস পরে গত ৯ মার্চ রাতে দেবাশীষ নাথ দেবুকে সভাপতি এবং আজিজুর রহমান আজিজকে সাধারণ সম্পাদক করে  ২০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কথা থাকলে ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি তারা। এতে নগরের অন্য সব নেতাকে এখন নিজেদের সাধারণ কর্মী বা সাবেক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে হচ্ছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সাংগঠনিক পরিচয়ের অভাবে অনেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।

কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহানগর পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। এখন এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আরেক পক্ষে আছেন কমিটির সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০২১ সালের জুন মাসে সম্মেলন ঘিরে তাদের মধ্যে উত্তেজনাও বাড়ে। বিভক্তির জের ধরে পদপ্রত্যাশীদের নিয়ে দলে পৃথক বলয় তৈরি হয়। তবে কেন্দ্রের নির্দেশে সম্মেলন সফল করতে তারা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার পর তারা আবার বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন।

নাম অনিচ্ছুক সেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় আট মাসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী হতাশায় ভুগছেন। তারা দলীয় কর্মসূচি পালনে উৎসাহ পাচ্ছেন না। সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা রয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ইচ্ছা অনুযায়ী বর্তমানে সেচ্ছাসেবক লীগ চলছে। মূলত দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি সব পক্ষ থেকে নাম জমা নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যখন চাইবে, তখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে।  

স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এ কে এম আজিম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যথাসম্ভব কমিটি দিতে চাচ্ছি। ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের পলোগ্রাউন্ডের ঐতিহাসিক জনসভার আগে কমিটি ঘোষণার চেষ্টা করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।