ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চার বছর আট মাস ১৫ দিন পর চট্টগ্রামের জনসভায় ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৪ ডিসেম্বর নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠের এই জনসভায় লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটবে বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

 

প্রধানমন্ত্রীর জেলা সফরের মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলমান রাখার অংশ হিসেবে ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে জনসভায়ও যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নেতারাও তৎপর চট্টগ্রামের জনসভা ঘিরে। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ব্যাপক লোকসমাগমের পাশাপাশি আওয়ামী লীগপ্রধান নির্বাচনকেন্দ্রিক বার্তা দেবেন বলেই আশা সংশ্লিষ্টদের।

জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জনসভা সফল করতে দিন-রাত নগর থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ জনসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১০ বছর পর এই মাঠে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকার আদলে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। নৌকার দৈর্ঘ্য ৮৮ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট। মূল মঞ্চের সামনে থাকবে ১৬০ মিটার লম্বা একটি নৌকা। ১৫ নভেম্বর থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।  

দলীয় সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন। জনসভার প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। প্রতিদিন মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে লিফলেট বিতরণ, সভা-মিছিল করছেন। নগর ও জেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লার বাসাবাড়িতে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে । একইসঙ্গে ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন নগর ও জেলার শীর্ষ নেতারা।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, ইতিমধ্যে পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক এমপি এবং নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে লোকজন আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে প্রচুর লোকজন আসবে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে জনসভায় আসার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসভায় আসবেন। ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে আরও ১০ দশ গুণ লোকের সমাগম হবে।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন জানান, ৪ ডিসেম্বর জনসভা সফল করতে প্রচার-প্রচারণা চলছে। আমাদের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরের ২৪টি স্থানে সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জনসভার মাইকিং করা হচ্ছে। নগরে ১০টি অটোরিকশাযোগে মাইকিং শুরু হয়েছে। ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে ১, ২ ও ৩ ডিসেম্বর একযোগে মাইকিং ও প্রতিটি মহল্লায় প্রচার-প্রচারণা করা হবে।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান জানান, ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে যুবলীগ দিন-রাত প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন লিফলেট বিতরণ, পথসভা, মিছিল হচ্ছে। সন্দ্বীপে প্রতিটি পাড়া-মহল্লার বাসাবাড়িতে জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। জনসভা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।