ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বিজেপি সম্পর্কে হতাশ দেশবাসী : অভিযোগ আদভানির!

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১২

নয়াদিল্লি : বিজেপির অভ্যন্তরে তার কর্তৃত্ব কমেছে অনেকটাই। তাই ক্ষুব্ধ ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এনডিএ জমানায় লৌহমানব বলে খ্যাত লালকৃষ্ণ আদভানি এবার তার নিজের দলের বিরুদ্ধে ব্লগে মুখ খুলেছেন!

নাগপুরের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) নেতৃত্ব এবং নরেন্দ্র মোদীর সহায়তায় দলীয় সংবিধান সংশোধন করে নীতিন গডকড়ি দ্বিতীয় বারের মতো দলের সভাপতির পদ পেয়েছেন।



এতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ লালকৃষ্ণ আদভানি অধিবেশন শেষে প্রকাশ্য সভায় যোগ না দিয়েই দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন।

এবার নিজের ব্লগে বিজেপি সভাপতির প্রতি সেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। মাত্র সাড়ে সাত মাস আগে ইউপিএ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনচেতনা যাত্রায় নামা এ বলিষ্ঠ নেতা এবার সোচ্চার হলেন ১১ অশোক রোডের বর্তমান কর্ণধারের দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে।

সেই সঙ্গে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ‘বিজেপির ভূমিকা নিয়ে আদৌ সন্তুষ্ট নয় দেশবাসী’।

উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগে যেভাবে টিম গডকড়ির উদ্যোগে বাবু সিং কুশওয়াসহ বিএসপি`র দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী-বিধায়কদের দলে নেওয়া হয়, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন গান্ধীনগরের অশীতিপর বিজেপি সাংসদ।

প্রশ্ন তুলেছেন, ঝাড়খণ্ড ও কর্নাটকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা অনৈতিক কাজে অভিযুক্ত নেতাদের সম্পর্কে আপোসকামী অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও।

নানা দুর্নীতির অভিযোগে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বি এস ইয়েদুরাপ্পার পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কেন নীতিন গডকড়ি-অরুণ জেটলির মতো নেতারা ব্যাঙ্গালোরে গেলেন, তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন আদভানি।

তিনি বলেছেন, দেশের আমজনতার ‘মুড’ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে দল। যদিও লোকসভার বিজেপি নেতা সুষমা স্বরাজের পাশাপাশি দলের রাজ্যসভার নেতা জেটলিরও নিজের ব্লগে ভুয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।

আদভানি জানিয়েছেন, তিনি ১৯৮৬ সালে বিজেপির দ্বিতীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় দলের সাংসদ সংখ্যা ছিলেন মাত্র ২ জন। সেখান থেকে দেশের শাসক দল হয় বিজেপি। আজও ভারতের ৯টি রাজ্যে এককভাবে বা শরিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার চালাচ্ছে প্রস্ফূটিত পদ্ম।

কিন্তু ইউপিএ সরকার সম্পর্কে দেশের মানুষ ক্রুদ্ধ হলেও বিজেপি সম্পর্কে জনমানসে হতাশা যে বাড়ছে, প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদীর কাছে হেরে রাজনৈতিক বাণপ্রস্থের মুখে দাঁড়িয়ে সে কথা জানাতে ভোলেননি লালকৃষ্ণ আদভানি।

সেই সঙ্গে জোর দিয়েছেন, নিরপেক্ষ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আত্মসংশোধন ও দিশা-নির্দেশ সন্ধানের ওপরও।

বাংলাদেশ সময় : ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা : বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।