ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আত্মপ্রচার

সোশ্যাল নেটওর্য়াক সাইটই পছন্দ ভারতীয় রাজনীতিবিদদের

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১২

কলকাতা: ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে এ পি জে আবদুল কালামের সমর্থনে ফেসবুকে প্রচার শুরু করেছেন মমতা ব্যানার্জি। জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে ক্রমশ ভারতীয় রাজনীতিবিদদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।



এই মাসের ১৮ জুন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, নেট দুনিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর। পিছিয়ে নেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

২০০৯ সালের ১ জুন টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন শশী থারুর। তার বর্তমান বন্ধুর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৫৩৪ জন। প্রতিদিন গড়ে ১হাজার ২৪১ জন তার প্রোফাইল ভিজিট করেন।

২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি টুইটারে আত্মপ্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তার অনুগামীর সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫১ জন।  প্রতিদিন গড়ে ৮৩৯ জন তার প্রোফাইল ভিজিট করেন।

২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী। তার অনুগামী ৭ লাখ ৯ হাজার ৮৭১ জন। প্রতিদিন গড়ে ৫৬৬ জন তার প্রোফাইল ভিজিট করেন।

টুইটারের পাশাপাশি ফেসবুকেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। ২০০৯ সালের ৫ মে  ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। এখানের তার বন্ধুর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৬৪৮। ফেসবুকে প্রতিদিন গড়ে ৩১ জন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর  প্রোফাইল ভিজিট করেন।

২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম টুইটারে আসেন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ। তার অনুগামীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩২৪ জন। প্রতিদিন গড়ে ৪৬৫ জন তার ভিজিট করেন তার প্রোফাইল।

২০১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি টুইটারে আত্মপ্রকাশ করেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। তার বন্ধুর সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮৮ জন। প্রতিদিন গড়ে ২৯৭ জন তার প্রোফাইল ভিজিট করেন।

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে এ পি জে আবদুল কালামের সমর্থনে ফেসবুকে ১৬ জুন থেকে প্রচার শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এরইমধ্যে তার ফেসবুক বন্ধুর সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৯৭ জন। প্রতিদিন গড়ে ৯ হাজার ২৯৮ জন তার প্রোফাইলে প্রবেশ করেছেন।

শিক্ষিত যুবসমাজের কাছে নিজেদের বার্তা আর আত্মপ্রচারণা পৌঁছে দিতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ক্রমশ ভারতের রাজনৈতিকদের বিকল্প প্রচার মাধ্যম হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দলমত নির্বিশেষে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যোগ দিচ্ছেন সবাই।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।