ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

লস্কর সদস্য হামজা কলকাতা-বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তান গিয়েছিল!

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১২
লস্কর সদস্য হামজা কলকাতা-বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তান গিয়েছিল!

নয়াদিল্লি: মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত লস্কর সদস্য আবু হামজাকে জেরা করে দিল্লি পুলিস চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে প্রতিদিন।

গত মঙ্গলবার জেরায় মুম্বাই হামলায় জড়িতদের অন্যতম হামজা জানিয়েছে, ঔরঙ্গাবাদে পুলিশের তাড়া খেয়ে কলকাতায় এসে পালিয়েছিল ২০০৬ সালে।

তারপর বনগাঁ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে চলে যায়।

কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী বিভিন্ন সূত্র খতিয়ে দেখে একই দাবি করেছে।

দিল্লি পুলিশ হামজাকে জেরা করে আরও জেনেছে, ২০০৬-এর ৯ মে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরের এমএলএ হস্টেলে ছিল সে৷ পরে সেখান থেকে মহারাষ্ট্রেরই ঔরঙ্গাবাদে গিয়ে বসবাস শুরু করে। ওইসময় ঔরঙ্গাবাদে আটক করা হয় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বোঝাই একটি গাড়ি৷ ওই গাড়ি হামজাই নিয়ে যাচ্ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের৷

কিন্তু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালায় হামজা৷ গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরডিএক্স, একে-৪৭, গুলি, গ্রেনেড৷ গোয়েন্দাদের দাবি, এরপরই ঔরঙ্গাবাদ থেকে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দেয় হামজা৷

এদিকে, হামজাকে জেরা করতে মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছেছে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা৷

দিল্লি পুলিস সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা চাইছেন, হামজাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মুম্বাই হামলার জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে৷

এ সূত্রে জঙ্গি গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন প্রধান কলকাতার বাসিন্দা আমির রেজা খান সম্পর্কেও বেশ কিছু নতুন তথ্য জানা যাবে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা৷

বিশেষ সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম জানিয়েছেন, কাসভ জেরায় স্বীকার করেছে, লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার জাকিউর রহমান লকভি, আবু হামজারাই অল্পবয়সীদের জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করত৷

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।