ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পাহাড় ধসে ত্রিপুরায় রেল, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা): পাহাড় ধসে ত্রিপুরায় রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ত্রিপুরা।

রাস্তায় আটকে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

আসাম ও মেঘালয়ের অভ্যন্তরে জাতীয় সড়ক এবং রেল লাইনের ওপর পাহাড় ধবসে পরায় বন্ধ হয়ে পড়েছে ত্রিপুরার সঙ্গে অন্যান্য স্থানের রেল যোগাযোগ।

সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয় উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। এর ফলে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধবসে পড়ে। আসামের বড়াইল পাহাড় ধবসে পড়ে জাতীয় সড়কের ওপর।

অন্যদিকে উত্তর কাছারের মাটি ভেঙে পড়ে রেল লাইনের ওপর। ফলে বদরপুর-জোয়াই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও পাহাড় লাইনে রেল পথ আটকে যায়। রাস্তায় আটকে পড়ে কয়েক হাজার যাত্রী। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও মহিলারা।

লামডিং-আগরতলা দুটি ট্রেন আটকে আছে রাস্তায়। ট্রেন দুটি এমন জায়গায় আটকে আছে যে সেখান থেকে যাত্রীদের বের করবার অন্য কোন পথও নেই। তাদের উদ্ধারের ব্যপারে রেলওয়ে, আসাম সরকার, এবং সেনা জওয়ানদের নামানো হয়েছে। অন্য একটি রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে ঐ দুই ট্রেনের যাত্রীদের সেখান থেকে উদ্ধার করে আনার জন্য।

জাতীয় সড়ক এবং রেল লাইন বন্ধ হওয়ার কারণে শুধু ত্রিপুরাই সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে নি। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বরাক উপত্যকা, মিজোরাম, মনিপুর এবং মেঘালয়ের একটি অংশ।

ধসের ব্যাপকতা দেখে পাহাড় লাইনে সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুনও এই পাহাড় লাইনের হারাঙজাও এবং মাইলংডিসা স্টেশনের মাঝে ধবস পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল ১৩ দিন।

এবার পাহাড় লাইনের ১১৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৫১ টি জায়গায় ধবস পড়েছে। তার মধ্যে ৯ টি জায়গায় মাটি, পাথর ও কাদার নিচে চলে গেছে রেল লাইন। জাতীয় সড়কের তিন জায়গায় ধস পড়েছে। কবে নাগাদ রাস্তা পরিষ্কার করা যাবে কেউ বলতে পারছে না। রাজ্য প্রশাসনে এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। কারণ বেশি দিন সড়ক এবং রেল পথে ত্রিপুরা বিচ্ছিন্ন থাকলে খাদ্যের সমস্যা শুরু হয়ে যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১২
তন্ময় / সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।