নয়াদিল্লি: টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে যৌথ সমীক্ষার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল শর্তাবলী চূড়ান্ত করেছেন। ভারতের পক্ষ থেকে পাঁচটি পর্বের বিস্তারিত প্রজেক্ট রির্পোট (ডিপিআর) দিল্লিতে আগত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী বৈঠক শুরু হয়েছে। দিল্লির ওবেরয় হোটেলে এই আলোচনা মঙ্গলবার শেষ হবে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের তুলে দেওয়া রির্পোটের ভিত্তিতে বাংলাদেশ তাদের এলাকায় প্রথমে সমীক্ষা করবে।
বাংলাদেশের নদী কমিশনের সদস্য ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মীর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বৈঠকে সমীক্ষার শর্তবলী চূড়ান্ত করার কাজ সন্তোষজনকভাবেই এগোচ্ছে। বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়গুলোতে ভারত সচেতন। এই উদ্বেগ দূর করার যাবতীয় প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি না পেলে এই প্রকল্প ভারত এগোবে না।
ভারতের পক্ষে থেকে যে ডিপিআর পেশ করা হয়েছে, তাতে বিশদ তথ্য রয়েছে। বলা হয়েছে প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে যে জলাধার করা হবে তাতে ১৫ হাজার ৯০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি সঞ্চিত হবে। এই পানি শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে। ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নিয়মিত পানি ছাড়া হবে। তাতে জলাধারে পানি থাকবে মাত্র নয় হাজার সিএমসি। চাষের জন্য পানি ব্যবহার করা হবে না।
ডিপিআরে পরিষ্কার, বরাক নদীর প্রবাহ মনিপুরসহ ভারতের মধ্যে ১০০ কিলোমিটার। ফলে ভারত এমন কোনো প্রকল্প করবে না, যাতে এই অঞ্চলের মানুষের ক্ষতি হয়। বর্ষায় সময় মাত্র ছয় হাজার ৭৫০ কিউবিক মিটার পানি ছাড়া হবে। এতে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা কমবে। টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫০ শতাংশ এলাকা ভারতের মধ্যে শুষ্ক মৌসুম ও শীতকালে বেশি পানি পাবে বাংলাদেশ।
তাই বাংলাদেশকে এই প্রকল্পে অংশ নিতে বলেছে ভারত। নীতিগত সম্মতি দিলেও এখন চূড়ান্ত সম্মতি আসেনি। ভারত ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১০০ ভাগ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। আরও দুটি প্রকল্পে বাংলাদেশের অংশ নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর