ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে দুই শরিকের বিরোধ তুঙ্গে

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১২

কলকাতা: ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে মঙ্গলবার একে অপরে বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে লড়াইয়ে নামল কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।

কলকাতার মহাজাতি সদনে সংগঠনের ৭৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে ছাত্র পরিষদ।

উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।

ওই সভার কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

ছাত্র পরিষদের সভায় প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন। পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য গান্ধীমূর্তির পাদদেশের সভায় চড়া সুরে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।

ফের সংবাদমাধ্যমকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে চ্যানেল তৈরি করে মিথ্যা প্রচারে নেমেছে সিপিএম। কুৎসা, অপপ্রচার চললেও লক্ষ্যে অবিচল থাকলে সব বাধা জয় করা যায় ৷ সংবাদমাধ্যমের মনোভাব পাল্টেছে ৷ মানবিক দিক তুলে না ধরে বাজার ধরার চেষ্টা করছে সংবাদমাধ্যম ৷  


ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, সিপিএম কয়েকজনকে ধরে এমন একটা ভাব করছে যেন কালকেই তারা ক্ষমতায় ফিরবে৷ সাড়ে তিন বছর নয়, সাড়ে তেইশ বছর অপেক্ষা করেও সিপিএমের কিছু হবে না। বাম জমানায় মহিলাদের ওপর ধর্ষণসহ নানা অত্যাচার হয়েছে৷ কিন্তু পুলিশকে এফআইআর করতে দেওয়া হয়নি৷

সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসার কারণে সমাজের এলিট শ্রেণীর একটা অংশ তাকে মেনে নিতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই মঞ্চে কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি ৷ তিনি বলেন, কংগ্রেস সিপিএমের সাব কমিটি হয়ে গিয়েছে ৷ তাদের সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে৷

কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে মমতা ব্যানার্জির হাত ধরেই ভাঙন ধরেছিল ছাত্র পরিষদে। সেই থেকে প্রতি বছরই ২৮ আগস্ট ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মহাজাতি সদনের মঞ্চকেই বেছে নিলেন কংগ্রেস নেতারা। কখনও তাদের আক্রমণের লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী,  কখনও সরকার। এই দিনটাকে সামনে রেখে প্রতিবারই শক্তি প্রদর্শনে নামে দুই শিবির। এবার কিন্তু প্রেক্ষাপট কিছুটা হলেও ভিন্ন।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের। আর সে কারণেই আক্রমণে যেন লাগামহীন কংগ্রেস নেতা থেকে মন্ত্রীরা। উপচেপড়া মহাজাতি সদন। ছাত্রদের গলাতেও সরকার বিরোধী স্লোগান। আর সবকিছুকে ছাপিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটান অধীর চৌধুরী। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাড়াই লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।  

ছাত্র পরিষদ নেতাদের দাবি, কলেজে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। আর তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ের ডাক।
 

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১২

আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।