কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রথম মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে বহরমপুরের জনসভায় বুধবার প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতার নজির সৃষ্টি হল।
মুখ্যমন্ত্রী সভায় বক্তব্য শুরু করার ১০ মিনিটের মধ্যেই যান্ত্রিক গোলযোগে মাইক বন্ধ হয়ে যায়।
সভাস্থলে যখন চরম বিশৃঙ্খলা, তখন কার্যত নির্বাক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুলিসকে।
বিশৃঙ্খলার জেরে জেলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা ও বিগত দিনগুলোতে সরকারের খতিয়ান তুলে ধরার বয়ান মাঝপথে বন্ধ রেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন।
এদিকে, এ ঘটনায় তৃণমূলের অভিযোগের তীর গেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় লোক ঢুকিয়ে কংগ্রেস সভা ভেস্তে দিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
যদিও, সব অভিযোগই খণ্ডন করেছেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, সভার টাকা এলো কোথা থেকে? ১০০ দিনের কাজের টাকা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ব্যয় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এর আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের সড়কগুলির সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে৷
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়কগুলির হাল নিয়ে কেন্দ্রের শাসক জোট ইউপিএর সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সরব হয়েছেন তিনি৷ দুর্গা পূজোর আগেই বেহাল রাস্তাগুলি সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি৷
এরপর কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামের জনসভায় তিনি কৃষকদের আশ্বস্ত করে ফের একবার বলেন, তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কোনও পদক্ষেপ রাজ্য সরকার নিবে না৷ জমির ঊর্দ্ধসীমা (একজনের মালিকানায় জমির পরিমান) তুলবে না তার সরকার৷
সেই সঙ্গে সারের দামবৃদ্ধি নিয়ে কৃষকদের অসন্তোষের রেশ যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে মুখমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন৷ পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না৷
এদিন কড়া সুরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না৷ উন্নয়নের পথে কোনও বাধা এলে তা সরিয়ে দেওয়া হবে৷
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘন্টা, ৩০ আগস্ট, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর