আগরতলা (ত্রিপুরা): পুঁজিপতিরা দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। যেমন কয়লা কেলেঙ্কারিতে এবারে দিল্লির সরকারের নাম উঠে এসেছে।
শুক্রবার এ ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুঁজিপতিদের কথায় উঠবস করছে এ দেশের সরকার।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদীর প্রথম সাধারণ সম্পাদক কমরেড পি সুন্দরাইয়ার জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা ও আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয় টাউন হলে শুক্রবার সন্ধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের মুল আলোচনার বিষয় ছিল ‘পি সুন্দরাইয়া ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ’।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ কারাত বলেন, ‘‘পি সুন্দরাইয়ার অবদান আমরা ভুলবো না। সাম্রাজ্যবাদের কথা বলতে গেলে, মানুষ বলে কোথায় সাম্রাজ্যবাদ রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ তো নেই, কোথাও উন্নতি হয়নি। এদের রাজনীতি মানেই লুটেপুটে খাওয়া। ’’
প্রকাশ কারাত বলেন, ‘‘সুন্দরাইয়া সর্বোত্তম কমিউনিস্ট ছিলেন। কমিউনিস্ট হতে গেলে যে সব গুণাবলী থাকা দরকার তা সুন্দরাইয়ার মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। জাতপাত, ধর্ম, বর্ণের উর্ধে উঠে মানুষকে নিয়ে কাজ করেছিলেন। নিজের দেশকে ভালোবাসতেন। তার একটি আর্ন্তজাতিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। শোষণ, বঞ্চনা অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদী হতেন। সবচেয়ে পেছনে পড়া অংশের মানুষদের সঙ্গে এগিয়ে যেতেন। কোনো কাজে তিনি দ্বিচারিতা করেননি। শৃঙ্খলা পরায়ণতাই তার বৈশিষ্ট্য। তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান কমিউনিস্ট। শুধু বই পড়ে তিনি কমিউনিস্ট হননি। শ্রমিক কৃষকের মৈত্রীর ভিত্তিতে তিনি কাজ করে গেছেন। ’’
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, বহু পুলিশি নির্যাতন সহ্য করেছিলেন, এর পর কারাবরণ ও করেছিলেন। একটা অল্প সময়ের জন্য তিনি কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছিলেন। কংগ্রেসের শ্রোতের সঙ্গে তার ভাবের মিল ছিল না। এর পরই কমিউনিস্ট আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য হয়ে গেলেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্ত্তী, রমা দাস, শিক্ষামন্ত্রী অনিল সরকার, পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে, নিরঞ্জন দেববর্মা, বিজন ধরসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর