আগরতলা (ত্রিপুরা): ধর্ষণের দায়ে সাজা ঘোষণা হল এক পুলিশ অফিসারেরে। শনিবার এক আদালতে এই রায় দেয়।
ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৭৬ ও ১২০ (বি) ধারায় তার বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। শনিবার মাননীয় বিচারক অদিত চৌধুরী অভিযুক্ত দিলীপ গুহ ও ধর্ষণ কান্ডে সাহায্যকারী মিনতি দাসের শাস্তি ঘোষণা করেন।
আদালত দিলীপ গুহকে ১০ বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরো ১ বছরের জেল। মিনতি দাসকে তিন বছরের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ২ মাসের জেল প্রদানের শাস্তি ঘোষণা করে আদালত। মিনতি দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে দিলীপ গুহকে ধর্ষণে সাহায্য করেছিল।
২০১০ সালের ২৬ অক্টোবর কল্যানপুরের এক নাবালিকাকে নিজ সরকারি আবাসনে ধর্ষন করেছিল তৎকালীন কমলপুর থানার ওসি ইন্সপেক্টর দিলীপ গুহ। ঐদিন রাতে একাধিকবার নাবালিকাকে ধর্ষন করে অভিযুক্ত ওসি।
ঘটনার দুইদিন পর ২৮ অক্টোবর নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কল্যাণপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নাবালিকা মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে অভিযুক্তের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য মক্ষীরানি মিনতি দাসের বিরুদ্ধেও মামলা করে ধর্ষিতার পরিবার।
প্রথম দিকে তৎকালীন কল্যাণপুর থানার ওসি বাবুল দাস মামলার তদন্ত সঠিক ভাবে না করায় চাপে পরে শেষ পর্যন্ত মামলার তদন্ত করেন পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার অনিশ প্রসাদ। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন পুলিশ সুপার।
এদিন পুলিশ ইন্সপেক্টর দিলীপ গুহ ও মিনতি দাসের শাস্তি ঘোষণার খবর জানতে আদালত চত্বরে ভীড় জমায় কৌতুহলি মানুষ। শাস্তি ঘোষণার পর ধর্ষিতার বাবা জানান, এই বিচারে তিনি খুশি। তারপরও দিলীপ গুহকে যাবৎ জীবন কারাদন্ড দিলেও তার শাস্তি অনেক কম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ২১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]