নয়াদিল্লি: ফের কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে অনিয়মের ইস্যুতে সোমবার উত্তাল হলো ভারতীয় সংসদ। আর এর ফলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্য সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের চিৎকারের প্রথমে বেলা ১২টা, পরে ২টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেন চেয়ারম্যান উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি।
অন্যদিকে, শোকপ্রস্তাব পাঠের পর লোকসভার অধিবেশনও মুলতবি করে দেন অধ্যক্ষ মীরা কুমার।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ইস্তফার দাবিতে অনড় রইলেও আপাতত কয়েকদিন সংসদ চলতে দেওয়ার জন্য দুটি শর্ত রেখেছে বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৫৮টি কয়লা ব্লকের বণ্টন অবিলম্বে বাতিলের পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
এদিকে রোববার ভারতের কয়লামন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করতে পারে না বিজেপি। তদন্ত চলাকালীন বণ্টন হওয়া কয়লা ব্লকগুলি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সোমবারই বৈঠকে বসছে বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী।
কয়লা ব্লক বণ্টনে দুর্নীতি ইস্যুতে গত এক সপ্তাহ কোনো কাজই হয়নি সংসদে। ৭ সেপ্টেম্বর সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে শেষের এই কদিনেও সংসদে কোনো কাজ হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কয়লা ব্লক বণ্টন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে, সীমান্ত প্রটোকল ও ছিটমহল বিনিময়ের চুক্তি কার্যকর করার জন্য ভারতের সংসদে একটি সংবিধান সংশোধনী বিল আনার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই সংবিধান সংশোধনী বিলটি ভারতের কেবিনেটে অনুমোদিত হয়েছে। সম্প্রতি তেহরানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।
তবে বিলটি যে সংসদের বাদল অধিবেশনে নিশ্চিতভাবেই পেশ করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে ভারত সরকার বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু কয়লা দুর্নীতির প্রশ্নে বিরোধী বিজেপি গত এক সপ্তাহের বেশি সময় সংসদ অচল করে রেখেছে। এর ফলে চুক্তিটির অনুমোদন সংসদে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর