নয়াদিল্লি : কয়লা ব্লক বন্টন ইস্যু আর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি রেখেই শনিবার ভারতীয় সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হল। এই অধিবেশনে পেশ করার কথা থাকলেও বিরোধিদের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলির আলোচনার কারণে সীমান্ত প্রটোকল চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময় নিয়ে কোন আলোচনা হলো না সংসদে।
আর এরফলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন ও ছিটমহল বিনিময় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, কয়লা ব্লক বাতিলসহ স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে সংসদ চত্বরে বিরোধিতায় সরব বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবির জানিয়ে দিয়েছে এই ইস্যুতে তারা এবার রাজপথে নেমে আন্দোলন করবে।
এদিন বিজেপির প্রবীণ নেতা ও সাংসদ লালকৃষ্ণ আদভানী সাংবাদিকদের বলেন, "বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে দুর্নীতি মুক্ত ভারতের স্বার্থে এনডিএ সাংসদরা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। "
এদিকে কয়লা ব্লক বন্টন ইস্যুতে তার ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
বাদল অধিবেশনের শেষদিনে সংসদের বাইরে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ক্যাগের প্রতি তার সরকারের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই ক্যাগ রিপোর্টের ওপর আলোচনাই একমাত্র কাম্য। দিনের পর দিন সংসদ অচল করে রাখার জন্য বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, সীমান্ত প্রটোকল ও ছিটমহল বিনিময়ের চুক্তি কার্যকর করার জন্য ভারতের সংসদে একটি সংবিধান সংশোধনী বিল আনার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ইতোমধ্যেই সংবিধান সংশোধনী বিলটি ভারতের কেবিনেটে অনুমোদিত হয়েছে।
সম্প্রতি তেহরানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।
তবে বিলটি যে সংসদের বাদল অধিবেশনে নিশ্চিতভাবেই পেশ করা হচ্ছে- সে ব্যাপারে ভারত সরকার বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু কয়লা দুর্নীতির প্রশ্নে বিরোধী সংসদ অচল করে রাখে, আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় বাদল অধিবেশন। এর ফলে চুক্তিটির অনুমোদন সংসদে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ২০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]