আগরতলা (ত্রিপুরা) : রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পুত্রকে হেনস্তা করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে মুখ খুললেন বিধায়ক সবুল ভৌমিক। এ ঘটনার জন্য তিনি এদিন আঙ্গুল তোলেন নিজদলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই।
বিধায়ক সুবল ভৌমিক সেই দিনের ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানান এবং যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের দল থেকে বহিষ্কাররের দাবী জানান। যে জায়গাতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হেনস্তার ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করা হচ্ছে- সেই জায়গায় কংগ্রেস বিধায়ক সুবল ভৌমিকের বক্তব্যে ফের কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
সোমবার প্রেসক্লাবে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুবল ভৌমিক গত বৃহস্পতিবার গান্ধীগ্রাম কালী বাজারের কংগ্রেস ভবনের প্রণব পুত্রের ওপর হেনস্তার ঘটনা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহের ১০৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি এদিন আগরতলায় আসেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল গান্ধীগ্রামে একটি পাঠাগার উদ্বোধন।
সেখানে তিনি যান সন্ধ্যার পর। গান্ধীগ্রামে অনুষ্ঠান চলাকালীন কংগ্রেসের অপর একটি গোষ্ঠী তাকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তাকে নিয়ে টানা হেঁচড়াও হয় বলে খবর। কংগ্রেসের এক গোষ্ঠীর আমন্ত্রণে তিনি গিয়েছিলেন গান্ধী গ্রামে।
এতে অন্য গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হয়। শেষে রাত আটটা নাগাদ তিনি আগরতলায় চলে আসেন। তবে কংগ্রেসের কোন নেতা এ ব্যপারে মুখ খুলতে চান নি। ত্রিপুরায় কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নতুন কোন ঘটনা নয়। এর আগেও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীরা হেনস্থা হয়েছেন রাজ্যে।
কিন্তু আভিজিত মুখার্জির ঘটনার অন্য গুরুত্ব রয়েছে যেহেতু তিনি দেশের রাষ্ট্রপতির পুত্র। তিনি বলেন সেই দিন গান্ধীগ্রামে কালী বাজারে প্রণব পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় গিয়ে পৌঁছলে পিসিসি সম্পাদক বলাই গোস্বামী তাকে কংগ্রেস ভবনে নিয়ে যায়।
ভবনে নিয়ে যেতেই তাকে কংগ্রেস কর্মীরা হেনস্তা করতে শুরু করে দেয়। তিনি বলেন এ রকম জঘন্যতম কাজ ত্রিপুরায় এই প্রথম। যে গোষ্টী প্রণব পুত্রকে অপমান অপদস্ত করেছিল তারা আগেও বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসের অন্য নেতাদের এভাবে আক্রমণ করেছে।
সুবল ভৌমিক বলেন, প্রণব পুত্র তো কোন রাজনৈতিক সভা বা মিটিং এ আসেন নি। তিনি এসেছিলেন ত্রিপুরার প্রায়ত প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহের জন্ম দিবসে তাহলে কি এটাই তার ভুল?
বাংলাদেশ সময় : ১৬১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]